সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ না পেলে রাম রহিমকে (Gurmeet Ram Rahim) প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যাবে না। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণও করতে হবে তাঁকে। সবমিলিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু। উল্লেখ্য, গত মাসেই ৫০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
আপাতত ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাম রহিমকে। ডেরার দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল হরিয়ানার (Haryana) পঞ্চকুলা আদালত। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। সেই খুনের ঘটনায় আরও তিনজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাম রহিম। পাশাপাশি ডেরার ম্যানেজারকে খুনের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হিমাচলে ‘ব্যর্থতা’ মানলেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘কংগ্রেস সরকার সুরক্ষিত’, দাবি শিবকুমারের]
কিন্তু কারাবাসের মধ্যে অনেকটা সময়ই জেলের বাইরে কাটিয়েছেন ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ধর্মগুরু। গত ১৯ জানুয়ারি তাঁকে ৫০ দিনের প্যারোল দিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। তারও আগে একাধিকবার লম্বা সময়ের জন্য তাঁর প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছে। গত ১০ মাসের মধ্যেই মোট সাতবার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। কেন বারবার প্যারোলের জোরে জেল থেকে বেরিয়ে পড়ছেন রাম রহিম, সেই নিয়ে একটি পিটিশন দায়ের হয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। তার ভিত্তিতেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হরিয়ানা সরকারকে আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১০ মার্চের মধ্যেই রাম রহিমকে আত্মসমর্পণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দিনে রাম রহিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে গেলে আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে হরিয়ানা সরকারকে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের কীভাবে প্যারোল দেওয়া হয় সেই নিয়েও হরিয়ানা সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, সাধারণত নির্বাচনের আগেই মুক্তি দেওয়া হতো রাম রহিমকে। তবে আদালতের নির্দেশে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই জেলে ফিরতে হবে তাঁকে। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) তিনি থাকবেন গারদের ওপারেই।