সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে (Teesta Setalvad) যেভাবে দু’মাসের বেশি সময় ধরে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে বৃহস্পতিবার তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলল, কীভাবে ছয় সপ্তাহ পরে গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court) নোটিস জারি করে অভিযুক্তের জবাব চায়। তিস্তাকে জামিন না দেওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ নেই বলেও মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit) বলেন, “এটি এমন কোনও অপরাধের মামলা নয়, যার জন্য জামিন দেওয়া যাবে না” তাছাড়া তিনি একজন মহিলা। দু’মাস ধরে জেলে রয়েছেন। অথচ আজ অবধি তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা গেল না। অন্য দুই বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াও বলেন, তিনি একজন মহিলা। কী করে একটি আদলত ছয় সপ্তাহ পরে অভিযুক্তের জবাবদিহি চাইতে পারে?
[আরও পড়ুন: কাপড়ের দোকানে ঢুকতেই গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, গুরগাঁওয়ে খুন বিজেপি নেতা]
তিস্তার বিরুদ্ধে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছিল তাতে দাবি করা হয়, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পর রাজ্যের বিজেপি সরকারকে ফেলতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ধৃত সমাজকর্মীকে। শুধু টাকাই নয়, আরও নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় গুজরাটের বিজেপি সরকারকে আসনচ্যুত করতে যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ করেছিল বিরোধীরা, তারই একটা অংশ ছিলেন তিস্তা, অভিযোগ এমনই।
যদিও এদিন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, “এটি বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন বা সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইনের অপরাধ নয় যে জামিন দেওয়া যায় না। এটি একটি সাধারণ অপরাধের ঘটনা। একজন মহিলাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: খ্রিস্টানদের উপরে লাগাতার হামলা, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, গত জুনেই সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট দাঙ্গা (Gujarat Riots) মামলায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত করার আরজি খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে যারা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ‘উসকানি’ দিচ্ছিল তাদের ভর্ৎসনাও করে শীর্ষ আদালত। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ”আমি মন দিয়ে রায়ের কপি পড়েছি। সেখানে পরিষ্কার তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উনি যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি চালাতেন সেটি পুলিশকে ভুয়ো তথ্য সরবরাহ করেছিল।”