সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুবিক্রির অভিযোগে এই মুহূর্তে কাঠগড়ায় মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটি৷ রাঁচির হোম থেকে নিঃসন্তান দম্পতিকে শিশু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে৷ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ আর তাতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা যাচ্ছে, অন্তত ২৮০টি শিশুজন্মের কোনও হদিশ নেই সংস্থার রেকর্ডে৷
[ নাবালিকা ধর্ষণে নয়া আইন পাশের পর প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় মধ্যপ্রদেশের আদালতের ]
মাদারের প্রতিষ্ঠা করা রাঁচির হোমে ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে অন্তত ৪৫০ জন গর্ভবতী মহিলা প্রসবের জন্য ভরতি হয়েছেন৷ তিন বছরের রেকর্ডবুক ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ১৭০টি শিশুর জন্ম নথিবদ্ধ হযেছে৷ কিন্তু বাকি ২৮০টির কোনও হদিশ নেই৷ সেই শিশুগুলিকেও কি একইভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ৷ সংবাদসংস্থা আইএনএস-কে তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বাদের ভরতি ও শিশুজন্মের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ শিশুবিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত চালানো হচ্ছে এবং সেখানে বেশ কয়েকটি অসঙ্গতিও চোখে পড়েছে তাঁদের৷ সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
[ স্বয়ং রামও রুখতে পারতেন না ধর্ষণ, কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক ]
দিনকয় আগেই রাঁচির হোমের বিরুদ্ধে শিশুবিক্রির অভিযোগ উঠেছিল৷ যেখানে উত্তরপ্রদেশের এক দম্পতি অভিযোগ করে জানিয়েছিল, লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার পরও হোম তাদের শিশুকে কেড়ে নেয়৷ পরে আদালতের ভয়ও দেখানো হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজন সন্ন্যাসিনীকে গ্রেপ্তারও করে৷ জানা যাচ্ছে, দত্তক আইনের বদলের কারণে সামনে থেকে দত্তক দেওয়া বন্ধ করেছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি৷ কিন্তু আইনের আড়ালে চলছে শিশুবিক্রির পালা৷ যা মানবপাচারের শামিল৷ আইনি ঝক্কির বদলে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নিঃসন্তান দম্পতিদের শিশুবিক্রি করা হচ্ছে৷ শুধু রাঁচি নয়, একাধিক হোমেই এই কাজ চলছে বলে অভিযোগ৷ পুরো চক্রের পর্দা ফাঁস করতে মূলে পৌঁছানোর চেষ্টায় এবার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
[ বেড়াতে এসে বান্ধবীর বাবার লালসার শিকার যুবতী, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ]
The post ২৮০ শিশুজন্মের কোনও হদিশ নেই, প্রশ্নের মুখে মাদার টেরিজার সংস্থা appeared first on Sangbad Pratidin.