সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ২৮টি আসন নিয়ে শরিকদের মধ্যে মতবিরোধের জল্পনা অস্বীকার করল মহা বিকাশ অঘাড়ি (এমভিএ)। শরিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, আলোচনা চলছে এবং রবিবারের মধ্যে সমস্ত কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। শনিবার শিব সেনা (উদ্ধব) নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, সমাজবাদী পার্টি এমভিএ-র সঙ্গে ছিল এবং দলের প্রধান অখিলেশ যাদব এবং সেনা (উদ্ধব) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমভিএ শরিকদের মধ্যে অবশিষ্ট মতপার্থক্য দূর করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
সমাজবাদী পার্টির রাজ্য সভাপতি এবং বিধায়ক আবু আজমি ১২টি আসন দাবি করেছেন, যার মধ্যে বাইকুল্লা, মানখুর্দ শিবাজি নগর, ভারসোভা এবং মুম্বইয়ের অনুশক্তি নগরের চারটি আসন রয়েছে। এদিন, রাউত জানান, তাঁর দল এবং শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (এসপি)-র মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। কারণ এই দুটি দল সমস্যাগুলি সমাধান করার ইচ্ছা এবং মানসিকতার দ্বারা চালিত হয়েছিল। তাঁর মন্তব্য, স্পষ্টতই তৃতীয় এমভিএ শরিক কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে। তিনি জোটে আসন ভাগাভাগি আলোচনায় বিলম্বে হতাশা প্রকাশ করেন এবং অভিযোগ করেন, মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম। তবে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে সঞ্জয় রাউতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছেন।
এর আগে এমভিএ থেকে জানানো হয়, মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৬০টিতেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে মহা বিকাশ অঘাড়ি (এমভিএ) ঐকমত্যে পৌঁছলেও বাকি আসনগুলি নিয়ে এখনও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। ওই পরিস্থিতিতে এমভিএ-র তিন শরিক কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দলের প্রধানদের কাছে বিতর্কিত আসনগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুম্বইয়ের তিনটি আসন-সহ ২৮টি আসন নিয়ে বিরোধ মেটাতে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, যে আসনগুলি নিয়ে এখনও সমাধানসূত্র মেলেনি, তার বেশিরভাগই বিদর্ভ অঞ্চলের, যেখানে কংগ্রেস ও উদ্ধবের শিব সেনা সমান শক্তিশালী। দুই দলই ওই আসনগুলি দাবি করেছে। মুম্বইয়ের তিনটি প্রধান বিতর্কিত আসন হল ভারসোভা, বাইকুল্লা এবং ধারাভি।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮টি আসনের নির্বাচন এক দফায় অনুষ্ঠিত হবে ২০ নভেম্বর। ভোট গণনা করা হবে ২৩ নভেম্বর। ২০২২ এবং ২০২৩-এ শিব সেনা ও এনসিপি ভাঙার পরে এটি রাজ্যের প্রথম বিধানসভা নির্বাচন।