সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। রূপ পালটে আরও ভয়াবহ হয়েছে ওই আণুবীক্ষণিক জীব। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এহেন টালমাটাল সময়ে আশঙ্কার কথা শোনাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এভাবেই সংক্রমণ বাড়তে থাকলে হাসপাতালে রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: মোদি-মমতার পর এবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হাড়িভাঙা আম উপহার হাসিনার]
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে ইদ উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেয় হাসিনা সরকার। আর তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে কার্যত নুয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামো। এই গতিতেই সংক্রমণ বাড়তে থাকলে হাসপাতালগুলিতে আর রোগীদের জায়গা দেওয়া যাবে না বলে রবিবার সতর্ক করে প্রশাসন। এই বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক বলেন, “কোনওভাবেই সংক্রমণ বাড়ুক তা আমরা চাই না।” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে এসে তিনি আরও বলেন, “আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সংক্রমণের গতির উপর লাগাম টানতে হবে। যদি এভাবেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে তাহলে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের জন্য আর জায়গা থাকবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে দেশের অর্থনীতি জোর ধাক্কা খাবে। আর আমরা এমনটা চাই না। তাই সবার উচিত করোনাবিধি মেনে চলা।”
উল্লেখ্য, রবিবার বাংলাদেশে করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২২৮ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ২৯১ জন। ফলে পরিস্থিতি যে রীতিমতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট। এদিকে, করোনা সংকটে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু ভারত। ভারত থেকে ট্রেনে করে বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে ২০০ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন। পাশাপাশি, দ্রুত ভ্যাকসিনের জোগান দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী।