নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাতিল বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। পুলিশের চাকরির ছাড়ার সময় রাজ্য় সরকারের ছাড়পত্র পাননি তিনি। অথচ মনোনয়ন দাখিলের সময় সেই ছাড়পত্র জমা দেওয়া আবিশ্যিক। রাজ্যের সেই ছাড়পত্র দেখাতে না পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হল বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই। তবে তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি।
ইঙ্গিতটা মিলেছিল গত ২৩ এপ্রিল। সেদিন বীরভূমে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই সাফ জানিয়েছিলেন, সদ্য চাকরি ছাড়া আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে 'নো ডিউস' দেয়নি রাজ্য। অথচ মনোনয়নপত্র জমার সময় সেই ছাড়পত্র জমা করা দরকার বলেই খবর। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় বিজেপি।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে ধনী প্রার্থীর সম্পত্তি ৬২২ কোটি, কত টাকা নিয়ে লড়াইয়ে ‘দরিদ্রতম’?]
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অভিজ্ঞ আইনজীবীদের একটি টিম বীরভূমে এসে পৌঁছছে। তাঁরাই বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এরকম কিছু হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিল বিজেপি। তাই বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে বিজেপি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে দেবতনু ভট্টাচার্যের নামে বিকল্প প্রার্থীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যদিও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের দিন শীতলকুচিতে লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। তৎকালীন এসডিপিও দেবাশিস ধরকে লোকসভার প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কোচবিহারের সেই রক্তক্ষয়ী ঘটনার ‘মূল মাথা’ আইপিএস আধিকারিককে রাজ্য ক্লিনচিট দেয়নি। এবার সেই কাঁটাতেই আটকে গেল দেবাশিসের ভোটের লড়াই।