সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই দাউদকে ধরার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। ছোটা রাজনের গ্রেপ্তারির পর থেকে দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim) -এর সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিল ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা দাউদ সাম্রাজ্যের জাল কাটার কাজ শুরু হয়েছিল। এবার কুখ্যাত ওই ডনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রয়াত ইকবাল মির্চির ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা বাজেয়াপ্ত করেছেন বলে জানা গেল।
ইডি ((ED) সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, সোমবার মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রয়াত ইকবাল মির্চি (Iqbal Mirchi) ও তার পরিবারের সাতটি ব্যাংক আকাউন্ট ও ২২.৪২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০২-এর ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে মুম্বইয়ের একটি হোটেল ও দুটি বাংলো ও পঞ্চগনির সাড়ে তিন একরের একটি জায়গা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: একদিনে যাবজ্জীবনের সাজা ২৩ জনকে! নারী নির্যাতন রুখতে কড়া বার্তা যোগী সরকারের ]
২০১৯ সালে একটি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে ইডি। যার তদন্তে নেমে সংস্থার আধিকারিকরা দাবি করেছিলেন, অপরাধজগত থেকে রোজগার করা টাকা দিয়ে মুম্বইয়ে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ফেঁদেছে ইকবাল মির্চি। বিভিন্ন কোম্পানি খুলেছে। তাকে এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে অন্য একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ফেঁসে থাকা ডিএইচএফএল কোম্পানির দুই কর্ণধার কপিল ও ধীরাজ ওয়াধানের বিরুদ্ধে। গত একবছরের মধ্যে দুবাইয়ের ১৪টি ব্যবসায়িক বিল্ডিং ও একটি হোটেল-সহ ইকবাল মির্চির প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির আধিকারিকরা। এই সম্পত্তিগুলি প্রয়াত ইকবালের স্ত্রী ও দুই সন্তান কিনেছিল বলেও জানা গিয়েছে।