shono
Advertisement

আলিমুদ্দিনকে বুড়ো আঙুল! ‘হোলটাইমার’বিধি ভেঙে উত্তর ২৪পরগনা জেলা কমিটির শীর্ষপদেই তন্ময়রা

কেন এমন সিদ্ধান্ত?
Posted: 02:05 PM Jun 06, 2022Updated: 02:05 PM Jun 06, 2022

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আলিমুদ্দিনের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখাল উত্তর ২৪পরগনা জেলা সিপিএম (CPM)। হোলটাইমার না হওয়া সত্ত্বেও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে থেকে গেলেন তন্ময় ভট্টাচার্য, বাবলু করের মতো নেতারা। তা নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষো।

Advertisement

হোলটাইমার বা সর্বক্ষণের কর্মীরাই শুধু থাকতে পারবেন পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে। চাকরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী বা অন্য পেশায় রয়েছেন এরকম কোনও নেতা জেলা পার্টির এই শীর্ষ পদে জায়গা পাবেন না। গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আলিমুদ্দিন। আর এই নয়া বিধিতে বাদ পড়তে পারেন জেলার তাবড় নেতারা। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলী গঠন হয়েছে শনিবার। সেখানে দেখা গেল অন্য ছবি। হোলটাইমার না হওয়া সত্ত্বেও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে থেকে গেলেন তন্ময় ভট্টাচার্য, বাবলু করের মতো নেতারা। বয়সের কারণে গৌতম দেব, (Gautam Deb) নেপালদেব ভট্টাচার্যর মতো নেতারা বাদ গিয়েছেন। আবার সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন দলের পরিচিত মুখ যুব নেতা সায়নদীপ মিত্র ছাড়াও আত্রেয়ী গুহ, দেবশঙ্কর রায়চৌধুরী-সহ অন্যরা।

[আরও পড়ুন: কেকে’র মৃত্যুর ঘটনায় CBI তদন্তের দাবি, মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট]

কিন্তু নয়া নিয়মে বাদ না পড়ে তন্ময় ভট্টাচার্য বা বাবলু করের মতো দুই নেতা কীভাবে সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পার্টির মধ্যেই। সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়া এই হোলটাইমার বিধি জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। সিপিএমের দলীয় অনুশাসন নিয়ে অনেক কথা হয়, সেই দলেরই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমনণ্ডলী গঠনের ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রম কেন? তাহলে কি উত্তর ২৪ পরগনায় এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ধাক্কা খেলেন মহম্মদ সেলিমরা? পার্টির একাংশ এই প্রশ্ন তুলেছে। নাকি গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই পিছিয়ে এল অলিমুদ্দিন?

জানা গিয়েছে, জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের বৈঠক দীর্ঘক্ষণ ধরে চলেছে। সেখানে দলের দুই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও শ্রীদীপ ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্রর যুক্তি, “এঁরা পুরনো এবং অনেকদিন ধরেই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন। এঁরা সেই সময়ে পার্টির কথায় চাকরি ছেড়েছিলেন। এখন এঁদের হোলটাইমার হিসাবেই গণ্য করে সম্পাদকমণ্ডলীতে রাখা হয়েছে। এবার রাজ্য কমিটি এটাকে কীভাবে দেখবে, সেটা রাজ্য কমিটির বিষয়।” এদিকে, নতুন নির্দেশ মেনেই হোলটাইমার নয় বলে কলকাতা জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীতে রাখা হয়নি দেবাঞ্জন চক্রবর্তী ও রাহুল ভট্টাচার্যকে। তাঁদের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। তবে হোলটাইমার না থাকা সত্ত্বেও কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন দেবেশ দাস ও ফৈয়াজ আহমেদ খান। সংখ্যালঘু ও তফসিলি কোটাতেই তাঁরা বলে পার্টি সূত্রে খবর। উত্তর ২৪ পরগনায় ক্ষোভের আশঙ্কা থেকেই হোলটাইমার বিধি কার্যকরে পিছিয়ে কি না, উঠছে প্রশ্ন।

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সুপারি কিলিং’-এর বরাত, মধ্যপ্রদেশে বসে কলকাতায় খুনের ছক! গ্রেপ্তার ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement