সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Corona Virus) সংক্রমণ আর মহামারীর জেরে আর্থিক ক্ষতির ভয়ে থরহরিকম্প কিম জং উন। মহামারী রুখতে একেবারে রণংদেহী মেজাজ নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে মানুষ খুন করতেও তিনি পিছপা হচ্ছেন না বলেও খবর। সরকারি নিয়ম ভাঙার ‘অপরাধে’ ইতিমধ্যে দুজনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় গুপ্তচর সংস্থা ন্যাশনাল ইনটালিজেন্স সার্ভিস (NIS) ।
তাঁরা আরও জানিয়েছে, করোনার নতুন ধাক্কা রুখতে উত্তর কোরিয়ার (North Korea) রাজধানী পিয়ংইয়ংয়েও লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সমুদ্র থেকে মাছ ধরা ও লবণ তৈরিও। এমনকী, উত্তর কোরিয়ার আমজনতার বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপরও কড়া নজর রাখছে সরকার। এক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নয়া বিধিনিষেধ।
[আরও পড়ুন : গুরু নানকের ৫৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাকিস্তান সফরে শিখ তীর্থযাত্রীর দল]
এনআইএসকে উদ্ধৃত করে দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হা তি কিউয়াং জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং করোনা মহামারী নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। আর্থিক পরিস্থিতির উপর এর প্রভাব আটকাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এনআইএস সূত্রে আরও খবর, গতমাসে দেশের মুদ্রা বিনিময় মূল্য বা মানি এক্সচেঞ্জ রেট পতনের জন্য এক মানি এক্সচেঞ্জারকে দায়ি করেন কিম জং। সেই অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন তিনি। এমনকী, সরকারি নিয়মভঙ্গ করে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করায় খুন করা হয় এক সরকারি আধিকারিককেও। তবে তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছে এনআইএস।
[আরও পড়ুন : ‘এখনই বলা যাবে না করোনার উৎপত্তিস্থল চিন নয়’, WHO-এর গলায় উলটো সুর]
এদিকে সমুদ্রের জলে জীবাণু থাকার আশঙ্কায় মাছ ধরা, লবণ তৈরির মতো কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে পিয়ংইয়ংয়ে। সেখানে জারি হয়েছে কড়া লকডাউনও। তবে সে দেশের অন্যত্র এই নিয়ম জারি করা হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মাসখানেক আগে বিদেশ থেকে মুদ্রা ও বিভিন্ন সামগ্রী আমদানির খবর সামনে আসতেই লকডাউন জারি করেছিল সে দেশের সরকার। এখনও তা বহাল আছে কি না, স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার মাটিতে একজনও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি বলে দাবি করেছে কিম সরকার। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা। বরং তাঁদের অভিযোগ, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় করোনা আক্রান্তের রীতিমতো খুন করছে কিমের প্রশাসন। ফের একবার সেই অভিযোগই করল দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা।