সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের ডঙ্কা বাজল কোরীয় উপদ্বীপে! আঞ্চলিক জলসীমার কাছে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করছে উত্তর কোরিয়া। এই পরিস্থিতিতে দুটি দ্বীপ থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়কে জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সিওল।
রয়টার্স সূত্রে খবর, শুক্রবার সমুদ্রে দুই দেশের সীমান্তে ২০০টি গোলা নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়ার গোলন্দাজ বাহিনী। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে পালটা মারের প্রস্তুতি নিয়েছে সিওল। যার কারণে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত ইয়েনপিয়ং ও বায়েংনিয়ং দ্বীপ দুটি থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এনিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ট্যাঙ্কবাহিনী একটি মহড়া চালিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ সেই মহড়ারই পালটা কি না তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার (North Korea) এই গোলাবর্ষণে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এনিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য এই ধরনের কাজ করছে উত্তর কোরিয়া। এর ফলে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে উড়ে গেল বিমানের দরজা! আলাস্কা এয়ারলায়েন্সের ভিডিও দেখলে শিউড়ে উঠবেন]
উল্লেখ্য, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া জোটের সঙ্গে চিন ও উত্তর কোরিয়ার সংঘাত বহু দিনের। বিগতে কয়েকদিনে যা আরও তীব্র হয়েছে। ফলে দুপক্ষের বিবাদে কার্যত বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে কোরীয় উপদ্বীপ। এর মাঝে আগুনে ঘি ধালার মতো কাজ করেছে গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিনের প্রবেশ। এবং ওয়াশিংটন ও সিওলের যৌথ সামরিক মহড়া। ‘অস্তিত্ব সংকটে’র আশঙ্কায় আগেও বহুবার মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল পিয়ংইয়ং। এর পর গত ডিসেম্বর মাসে শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকিও দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন।
এর পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। গত ৯ আগস্ট ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’বৈঠকে সেনাবাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য।