সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহলের (Taj Mahal) বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ! আগ্রার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এক কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের কর বকেয়া রয়েছে তাজমহলের। সম্পত্তি কর থেকে জলের কর-বাকি রয়েছে সবকিছুই। এই মর্মে এএসআইকে চিঠি দিয়েছে আগ্রা নগর নিগম। তবে আগ্রা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ভুলবশত এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলির উপরে কোনও কর বসানোর নিয়ম নেই।
এএসআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তাজমহলের সম্পত্তি কর হিসাবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। আগ্রা (Agra) নগর নিগমের দাবি, জল কর হিসাবেও ১ কোটি টাকা মেটায়নি এই স্থাপত্য। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া কর না মেটালে বাজেয়াপ্ত করা হবে এই বাড়িটি। ২০১৭ সালে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিল আগ্রা প্রশাসন। অবশেষে ২০২২ সালে এএসআইকে নোটিস পাঠানো হয়, এমনটাই জানিয়েছেন আগ্রা নগর নিগমের এক আধিকারিক। ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাজমহলকে।
[আরও পড়ুন: শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে নিয়ম শিথিল, সিটিজেনশিপ পোর্টাল পুনর্গঠন করবে কেন্দ্র]
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বার্ষিক ১১ হাজার ৯৮ টাকা কর ধার্য করা হয়েছে তাজমহলের উপর। দীর্ঘদিন ধরে কর না দেওয়ার ফলে এই করে সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে সম্পত্তি করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। শুধু তাজমহল নয়, করের নোটিস ধরানো হয়েছে তাজমহল সংলগ্ন ইৎমাদ-উদ-দৌল্লার সমাধিকেও। জাহাঙ্গিরের স্ত্রী নূর জাহানের পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা ‘বেবি তাজের’ বিরুদ্ধেও নোটিস জারি করা হয়েছে।
ভুল করে এহেন ঘটনা ঘটে গিয়েছে বলে দাবি করেছে আগ্রার প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই নোটিস পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের তরফেই কোনও ভুল হয়েছে। তাজমহলকে করের চিঠি পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল না। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে তাজমহলের ইতিহাস নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে তাজমহলে করের নোটিস পাঠানো নিয়ে স্বভাবতই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।