shono
Advertisement

নিষিদ্ধ বাজির খোঁজে তল্লাশি, পুলিশের জালে ছিনতাইবাজ চক্রের মূল পাণ্ডা

রাহাজানি, হামলার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তার নামে।
Posted: 12:55 PM Oct 27, 2018Updated: 12:55 PM Oct 27, 2018

অর্ণব আইচ: শহরে ধৃত ছিনতাইবাজ চক্রের মূল পাণ্ডা মহম্মদ নাসির। উত্তর বন্দর থানা এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশের হাতে পড়ে ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বহুদিন ধরেই নাসিরের খোঁজে ছিল পুলিশ। রাহাজানি, হামলার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তার নামে।

Advertisement

[অনলাইনে বিপত্তি, মোবাইলের বদলে হাতে এল ভাঙা পাওয়ার ব্যাংক]

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পোর্ট এলাকায় নিষিদ্ধ বাজির খোঁজে নাকা চেকিং করা হচ্ছিল। তল্লাশি চালানো হচ্ছিল প্রত্যেকটি গাড়িতে। তখনই ফাঁদে পড়ে নাসির। তার ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। মধ্য কলকাতায় একটি বড়সড় ছিনতাইবাজ চক্র চালাত নাসির। পথচারীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিত নাসির ও তার সঙ্গীরা। ধৃতকে জেরা করে ছিনতাইবাজদের দলটিকে খতম করা যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ। শহরে ঘটা একের পর এক অপরাধে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ছিনতাইবাজদের পাশাপাশি শহরে সক্রিয় রয়েছে কেপমার গ্যাং। সম্প্রতি এই গ্যাংটির হাতে দশ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন হাওড়ার এক বাসিন্দা। মধ্য কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিটে ঘটেছে এই ঘটনাটি। হাওড়ার বাসিন্দা ভবেশ উপাধ্যায় হাঁটছিলেন ক্যানিং স্ট্রিট ধরে। ওই ব্যক্তির ব্যাগের মধ্যে ছিল দশ লক্ষ টাকা। হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে কেউ তাঁকে পিছন থেকে জোরে ধাক্কা দেয়। তিনি পড়ে যান। এক ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। অন্য এক ব্যক্তি সাহায্য করার নাম করেই তাঁর হাত থেকে ব্যাগটি নিজের হাতে নেয়। তিনি হাত-পায়ের ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাগটি নিতে যান। তখনই বুঝতে পারেন, যে ব্যক্তি তাঁর ব্যাগটি হাতে নিয়েছিল, সে উধাও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।                              

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাজি বিক্রি নিয়ে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিষিদ্ধ করা হয়েছে শব্দবাজি। তারপর থেকেই শহরে ‘ছদ্মবেশী’ চিনা বাজি ধরতে বেশ কিছু গুদামের উপর নজরদারি শুরু করেছে পুলিশের। পাশাপাশি রাস্তা গুলিতে চলছে নাকা চেকিং। পুলিশ জানিয়েছে, চিনা বাজি নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী সাধারণ আতসবাজির আড়ালে চিনা বাজি পাচার করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ‘নিরীহ’ আতসবাজির বাক্সের মধ্যে নিষিদ্ধ চিনা বাজি বিক্রি হয় যে, অনেক সময় বাইরে থেকে বোঝার উপায়ও থাকে না। আবার কম দামি চিনা বাজির লেবেল ছিঁড়ে ফেলে তাতে সাধারণ আতসবাজির লেবেল লাগিয়ে তা চড়া দামে বিক্রির অভিযোগও ওঠে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এখানকার আতসবাজি ব্যবসায়ীরাও। তাই নিষিদ্ধ চিনা বাজি পাচার এড়াতে মূলত শহরের গুদামগুলির দিকেই বেশি নজর রয়েছে পুলিশের। পুজোর আগেই উত্তর বন্দর এলাকা-সহ কয়েকটি জায়গা থেকে প্রচুর শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, দীপাবলির আগে শহরে আরও শব্দবাজি পাচারের চেষ্টা হতে পারে। অন্যান্য জিনিসপত্রের আড়ালে বা পরিবহণ সংস্থার গুদামে নিয়ে যাওয়ার নাম করে যাতে শহরে শব্দবাজি পাচার না হয়, সেই বিষয়ে এখন থেকেই শহরের মালবাহী গাড়িগুলির উপর কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের।     

[রাজনৈতিক ডামাডোলে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে রাজাপক্ষে, উদ্বিগ্ন দিল্লি]   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার