সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ (Beti Bachao Beti Padhao) প্রচার অভিযানের নেপথ্যে রয়েছেন হরিয়ানার সমাজকর্মী সুনীল জাগলান (Sunil Jaglan)। শততম ‘মন কি বাতে’ (Maan Ki Baat) ফের সেকথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ২০১৫ সালে ‘সেলফি উইথ ডটার’ (Selfie with Daughter) কর্মসূচি শুরু করেছিলেন সুনীল। সমাজমাধ্যমে নিজের শিশুকন্যার সঙ্গে ছবি দেন তিনি। অন্যদেরও আহ্বান জানান, নিজের মেয়ের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করুন। সেই ডাকে সাড়া দেন বহু মানুষ। খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি এই কর্মসূচির প্রশংসা করেন। ৩০ এপ্রিল রবিবার শততম ‘মন কি বাতে’ সুনীলের সঙ্গে কথা বললেন মোদি। আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রীকে পালটা ধন্যবাদ জানালেন সুনীল।
হরিয়ানার বিবিপুরের বাসিন্দা সুনীল। গ্রামের প্রাক্তন সরপঞ্চও। আট বছর আগে নিজের দুই মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশানে লেখেন ‘সেলফি উইথ ডটার’। বিষয়টি মন কাড়ে মানুষের। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয় প্রচার। অনেকেই নিজের মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, হরিয়ানার মতো রাজ্যে ‘নারী ক্ষমতায়ণ’ একটি কঠিন শব্দ। সেখানে এবং উত্তর ভারতের পার্শ্ববর্তী রাজ্যে কন্যাভ্রুণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেখানে নারী শক্তির উন্মেষে গুরুত্ব দিয়েই লেখেন সেলফি উইথ ডটার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন সুনীল।
[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রীর আইনজীবী ছিলেন, রাহুল গান্ধীর মামলা শুনছেন সেই বিচারপতি]
যা বিশেষ ভাবে পছন্দ হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এদিন তিনি বলেন, “সেলফি উইথ ডটার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। হরিয়ানা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। কারণ এই রাজ্যে লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে।” এর আগেও মন কি বাতে ‘সেলফি উইথ ডটারে’র কথা উল্লেখ করেছিলেন মোদি। শততম মন কি বাতে ওই কর্মসূচির রূপকার সুনীল জাগলানের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দুই মেয়ে কেমন আছে, জানতে চান মোদি। সুনীল জানান, “বড় মেয়ে সপ্তম ও ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তারা আপনার বড় ভক্ত। আপনাকে চিঠি লিখেছে তারা।” পাশাপাশি সেলফি উইথ ডটারের হয়ে প্রচার চালানোয় মোদিকে ধন্যবাদ জানান হরিয়ানার সমাজকর্মী।
[আরও পড়ুন: এক দশক ধরে দাপাচ্ছিল অতিকায় দাঁতাল, অবশেষে ঠাঁই ভিনরাজ্যের অভয়ারণ্যে]
পরে সুনীল সাংবাদিকদের বলেন, “সেলফি উইথ ডটার এবং বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে হরিয়ানায়, যেখানে লিঙ্গ বৈষম্য একটা বড় সমস্যা।” উল্লেখ্য, সুনীল ‘সেলফি উইথ ডটার’ কর্মসূচির জন্য একটি অনলাই প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। যে ওয়েবসাইটে বাবা নিজের মেয়ের সঙ্গে ছবি দিতে পারেন। সুনীল জানান, এখনও পর্যন্ত ৮০টি দেশের অসংখ্য পিতা আদরের মেয়ের সঙ্গে ছবি দিয়েছেন।