সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় জোট বৈঠকের প্রস্তুতির মধ্যেই তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কে পনমুড়ি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে আচমকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবির তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের জন্য মোদি সরকারকে ফের কাঠগোড়ায় তুলে সরব হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেন, পনমুড়ি আইনিভাবে মামলার মুখোমুখি হবেন। বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের সভার আগে অভিযানটি একটি কৌশল ছাড়া কিছুই নয়। তাঁর কথায়, “রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই আমাদের (ডিএমকে) বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচার করছেন এবং এখন ইডিও আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে। এটা নির্বাচনে আমাদের কাজকে সহজ করে তুলছে। এটি স্বাভাবিক এবং এটি বিজেপির নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।”
[আরও পড়ুন: ৪৫ বছর পর তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল! প্লাবিত আগ্রায় পানীয় জলের সংকট]
এক মাস আগেই তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এর পরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সোমবার ইডি রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কে পনমুড়ির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এদিন সকাল ৭টা থেকে ভিলুপুরম এবং চেন্নাই-সহ পনমুড়ির চারটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। তাঁর পুত্র, লোকসভা সদস্য গৌতম সিগামনির বাড়িতেও ইডির আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়েছে। ২০১২ সালে তামিলনাড়ুর কল্লাকুরিচি সাংসদ পনমুড়ি এবং সিগামনির বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে মামলার প্রেক্ষিতে এই অভিযান বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে ডিএমকে ক্ষমতায় থাকার সময় খনি ও খনিজ মন্ত্রী হিসাবে পনমুড়ি বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু ক্ষুদ্র খনিজ ছাড় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। পনমুড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ভানুর ব্লকের পুথুরাইতে একটি লাল বালির খনি বরাদ্দ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল, খনি ও খনিজ আইনের বেশ কয়েকটি ধারাকে যা উপেক্ষা করে।
[আরও পড়ুন: বিরোধী বৈঠকের পালটা এনডিএ সম্মেলন, থাকবে বিমল গুরুংয়ের দলও]
অভিযোগ, পনমুড়ির দেওয়া ছাড়পত্রের জেরেই নির্ধারিত গভীরতার বাইরে খনিতে অতিরিক্ত খনন, যার ফলে ২০০৭ সাল থেকে সম্পদের অত্যধিক নিষ্কাশন হয়েছে। এই খনির আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় ২৮.৩৭ কোটি টাকা। মামলার দ্বিতীয় অভিযুক্ত হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন মন্ত্রী পনমুড়ির ছেলে সিগামনি।