সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার উত্তরপ্রদেশের পথে হাঁটল ঝাড়খণ্ড। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বেআইনি কসাইখানা বন্ধ হওয়ার পর একই নির্দেশ জারি করল বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ড। আগামী তিনদিনের মধ্যে সমস্ত বেআইনি কসাইখানাগুলিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে লাইসেন্স নিতে হবে, অন্যথা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
[অজিবাহিনীকে দুরমুশ করে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ভারতের]
সোমবার, ঝাড়খণ্ডের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এস কে জি রাহাতে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেন। রাজ্যের সমস্ত ডেপুটি কমিশনার, এসপি অ্যান্ড মিউনিসিপালিটি আধিকারিকদের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে তাঁদের এলাকার বেআইনি কসাইখানাগুলি যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশ জুড়ে প্রায় ৬২টি কসাইখানা লাইসেন্স প্রাপ্ত। তার মধ্যে একটিও ঝাড়খণ্ডের অন্তর্গত নয়। তবে রাঁচি পুরসভা কয়েকটি কসাইখানাকে লাইসেন্স দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[ড্রাগ পাচার কাণ্ডে এবার গ্রেপ্তার হতে পারেন মমতা কুলকার্নি]
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে মুরগি ও খাঁসির মাংসের বিক্রেতাদের কর্তৃপক্ষের থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু গরু ও মোষের মাংসের বিক্রির ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০০৪-০৫ সালে গরু ও মোষের মাংসের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে দেয় ঝাড়খণ্ড সরকার। এর অন্যথায় ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছিল। রাঁচি পুরসভার ডেপুটি মেয়র সঞ্জীব বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, রাজ্যে রমরমা রয়েছে বেআইনি কসাইখানার। সেখানে অবাধে গোহত্যা করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই কসাইখানাগুলিকে বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য।
[হিন্দুদের হত্যা-মন্দির ভাঙায় অভিযুক্ত তিতুমীর, বিতর্কে রাজ্যের পাঠ্যপুস্তক]
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে মাংস, বিশেষ করে গোমাংস বিরোধী অভিযানে নামলেও, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে গেরুয়া দলটি। মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যাণ্ডে আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপি ঘোষণা করেছে যে তারা ক্ষমতায় এলে এই রাজ্যগুলিতে গোমাংস নিষিদ্ধ করা হবে না।
[মাংস খাওয়া বন্ধ করুন মুসলিমরা, দাবি আজম খানের]
The post যোগীর পথে ঝাড়খণ্ড, বন্ধ হচ্ছে বেআইনি কসাইখানা appeared first on Sangbad Pratidin.