সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগে মহিলা পাকিস্তানি এজেন্টকে গোপনে মিসাইল পরীক্ষার তথ্য পাচারের অভিযোগে ডিআরডিও’র এক আধিকারিকে গ্রেপ্তার করেছিল ওড়িশা পুলিশ। এবার চরবৃত্তির অভিযোগ উঠল বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রেও করাচির (Karachi) এক মহিলার কাছে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ উঠছে। অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদ পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মীর নাম নবীন পাল। পাকিস্তানের চর এক মহিলার ফাঁদে পড়েন তিনি। মহিলার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় নবীনের। ধীরে ধীরে ঘনিষ্টতা বাড়ে। হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথা হত উভয়ের মধ্যে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সাম্প্রতিক জি ২০ বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ নথি করাচির ওই মহিলার কাছে পাঠিয়েছেন নবীন।
[আরও পড়ুন: জোর করে মূত্রপান করানোর অভিযোগ তুলেছিলেন, তরুণকে নগ্ন করে পেটানোয় অভিযুক্ত তিনিই!]
বিদেশ মন্ত্রকের কর্মীর ঘনিষ্ট মহিলা যে পাকিস্তানি, তা ফোন নম্বর মারফত জানতে পারে পুলিশ। যদিও প্রথমে জানা যায় ওই নম্বর বরেলির। এরপর ‘আইপি অ্যাড্রেস’ পরীক্ষা করতেই দেখা যায় নম্বরটি আসলে করাচির। এছাড়াও ষড়যন্ত্রের হদিশ দিয়েছে নবীনের মোবাইল। যেখানে ‘সিক্রেট’ নামের একটি ফোল্ডার পাওয়া যায়। তার ভিতরেই ছিল বিদেশ মন্ত্রক এবং জি ২০ সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ওই মোবাইল সূত্রে রাজস্থানের আরও এক মহিলার খোঁজ মিলেছে। ওই মহিলা নবীনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বাংলার ভোট হিংসায় আক্রান্তদের অসমে ‘আশ্রয়’ দেওয়ার প্রস্তাব হিমন্ত বিশ্বশর্মার! কড়া জবাব তৃণমূলের]
প্রসঙ্গত, এর আগে ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, ৫১ বছরের বাবুরাম দে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (ITR) টেলিমেন্ট্রি বিভাগের প্রযুক্তি আধিকারিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডিআরডিও-তে। তাঁর ফোনে নজরদারি চালিয়ে জানা যায়, মিসাইল পরীক্ষার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রযুক্তিগত তথ্য পাক চরকে গোপনে পাঠানো হয়েছে। এমনকী, ওই বিভাগের নিষিদ্ধ এলাকার বেশ কিছু ছবিও পাঠিয়েছেন বাবুরাম বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডির এক মহিলা চরের কাছে এসব তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তার জেরেই শুক্রবার বালেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাবুরামকে।