সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পাকিস্তানি হিন্দুরা। এই আইনটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রস্তাবও খারিজ করেছেন সে দেশের হিন্দুদের একাংশ।
‘গাল্ফ নিউজ’ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের হিন্দুদের একাংশ ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে নারাজ। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, দুবাইয়ে কর্মরত এক পাকিস্তানি হিন্দু দিলীপ কুমার নাকি সাফ বলেছেন, “ভারতের নয়া নাগরিকত্ব আইন বৈষম্যমূলক। CAA মানবতা ও সনাতন ধর্মের পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, “মানুষ হিসেবে, ধর্মের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা কোনও আইন আমরা মানি না। পাকিস্তানের হিন্দুরা সবসময় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেই কারণেই ভারতীয় মুসলমানরা আতঙ্কিত হন, এটা আমরা চাই না।” একই সুর শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একাংশের গলায়। রেভারেন্ড জোহান কাদির নামের এক পাকিস্তানি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী বলেন, “পাকিস্তানের খ্রিস্টানরা ভারতে শরণ নিতে মোটেও আগ্রহী নয়। মোদির এই নয়া আইন সংখ্যালঘুদের পক্ষে নয়। এটি মানবতার বিরোধী।”
[আরও পড়ুন: শাস্তিদানের আগে মৃত্যু হলে, তিনদিন ফাঁসিতে ঝোলানো হবে মুশারফের দেহ]
এর আগে ভারতের নগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আইনটির বিরোধীতায় পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকাও। একাধীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বাতিল করেছে ‘বন্ধু’ বাংলাদেশও। সব মিলিয়ে CAA নিয়ে ভারত সরকারের উপর কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর চলা নিপীড়ন কারও অজানা নয়। এপর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার পাক হিন্দু। তবে যাঁরা থেকে গিয়েছেন তাঁদের চাপে ফেলে ভারত বিরোধী মন্তব্য করতে বাধ্য করা হয়। ফলে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের হয়ে ভারত বিরোধী মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে তেমন কোনও প্রভাব ফেলবে না।
The post ‘ভারতের নাগরিকত্ব চাই না’, CAA নিয়ে সুর চড়ালেন পাকিস্তানি হিন্দুরা appeared first on Sangbad Pratidin.