সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে মনোজকুমার আগরওয়ালকে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। ১৯৯০ সালের ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের এই আইএএস অফিসারই আগামী বছর বাংলার বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এদিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মনোজের নিয়োগ সম্পর্কে জানানো হয়।

বলে রাখা ভালো, আপাতত ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন দিব্যেন্দু দাস।এর আগে ওই পদে ছিলেন আরিজ আফতাব।২০১৭ সালে তাঁকে ওই পদে নিয়োগ করেছিল কমিশন। এরপর তিনিই ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেন। পাশাপাশি বাংলায় ২০১৯ ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরিচালনার দায়িত্বও ছিল তাঁরই। গত ডিসেম্বরে তিনি অবসর নিলে অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় দিব্যেন্দুকে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিভাগের সচিব ছিলেন মনোজ। এছাড়া বনবিভাগ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজ্যের অগ্নি ও জরুরি পরিষেবা বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদে আসীন। এবার তাঁকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে বেছে নিল কমিশন।
আগামী বছরই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে ভূতুড়ে ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরিতে কমিশনের অপদার্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে ডাকা সর্বদল বৈঠকে শাসকদলের অভিযোগ, ‘ভিন রাজ্যের ভোটারদের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্র বা দিল্লিতে যে কায়দায় ভোট হয়েছিল, সেই ফর্মুলা বাংলায় কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে।’
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় বিজেপিশাসিত হরিয়ানা-গুজরাটের ভোটারদের নাম তোলার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলার পর দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়। বিরোধীদের লাগাতার চাপের মুখে পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন স্বীকার করে নেয় যে, বাংলার ভোটার তালিকায় থাকা বেশ কয়েক হাজার এপিক নম্বরের সঙ্গে হরিয়ানা, গুজরাট ও অসমের ভোটার তালিকার এপিক নম্বরের মিল পাওয়া গিয়েছে। তা সংশোধনের কাজও শুরু হয়েছে সারা দেশে। এই প্রক্ষিতে এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস ও জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপির পক্ষে ছিলেন পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ও প্রবাল রাহা। ছিলেন সিপিএমের শমীক লাহিড়ী ও কল্লোল মজুমদার, কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।