রাহুল চক্রবর্তী: দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষজনের জন্য এই মুহূর্তে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যাঁরা বিপিএল তালিকার আওতায় নেই, তাঁদের জন্য আসছে আলাদা কার্ড, যা ব্যবহার করে রেশন দোকান থেকে সস্তার চাল,চিনি,আটা কেনার উপায় নেই। কিন্তু এই খামতি পুষিয়ে দেবে অন্য একটি সুবিধা। বিত্তশালীরা তাঁদের স্মার্ট কার্ড দিয়ে একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি সংস্থার বিপণি থেকে চাল,আটা,চিনি বাদে গেরস্থালির অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন। এবং কেনাকাটায় নির্দিষ্ট ছাড়ও মিলবে।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বদলাচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি, দেখে নিন একনজরে]
এমনই পরিকল্পনা নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাচ্ছেন খাদ্য দপ্তরের কর্তারা। নতুন ১০ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন মানুষদের ডিজিটাল রেশন কার্ড বিতরণের কর্মসূচি চলছে। কিন্তু তা হাতে যাতে নিছক পরিচয়পত্র হিসাবে দেরাজে আটকে না রেখে কাজেও লাগানো যায়, সেই উদ্দেশ্যেই সরকারের এই চিন্তাভাবনা। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার বলেন, “একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে সরকারের। যারা রেশন দোকানে নন পিডিএস (চাল—আটা—চিনির মতো গণবণ্টনের বাইরে থাকা) সামগ্রী সরবরাহ করে। সেই সংস্থার আউটলেটেই বিত্তশালীরা যাতে ছাড়ে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
রেশন দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী তুলবেন না, কিন্তু ডিজিটাল ফরম্যাটে একটি ‘স্মার্ট রেশন কার্ড’ প্রয়োজন, এমন দাবি রয়েছে রাজ্যের বহু মানুষের। এঁদের আয় মাসিক ১৫ হাজার টাকার বেশি। নতুন ১০ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে এই অংশের মানুষজনকেই ডিজিটাল রেশন কার্ড দেবে রাজ্য। আপাতভাবে সেটি পরিচয়পত্র হিসাবেই গণ্য হবে। কিন্তু তা দিয়েই একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার আউটলেট থেকে ছাড়ে কেনা যাবে পণ্য।
[আরও পড়ুন: ‘একজন হিন্দুও বাদ পড়বে না’, NRC নিয়ে আশ্বাস কৈলাসের]
এই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে খাদ্য দপ্তরের। এই সংস্থা এখন রেশন দোকানে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্টের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে। তা কিনলে নির্দিষ্ট ছাড় পান গ্রাহকরা। রাজ্যের মোট ২০,২৭৮টি রেশন দোকানের মধ্যে আনুমানিক ৩ হাজার দোকানে ওই সংস্থার বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায় এই মুহূর্তে।
The post হাতে স্মার্ট রেশন কার্ড? শপিং মলেও গেরস্থালির সামগ্রীতে মিলবে ছাড় appeared first on Sangbad Pratidin.