সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চমকে দিয়ে চিন (China) ও পাকিস্তান (Pakistan) একযোগে ভারতের উপর হামলা চালাতে পারে। যদি যুদ্ধ বাধে তবে একসঙ্গে এই দুই দেশের সঙ্গে লড়তে হবে। ফলে বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হতে পারে ভারতকে। তবে সেনার উপর আস্থা আছে। প্রাক্তন সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রবিবার প্রাক্তন সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেস (Congress)। সেখানেই চিন ও পাকিস্তান নিয়ে আশঙ্কার কথা জানান।
কিছুদিন আগে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর থেকে তাঁকে লাগাতার আক্রমণ করতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। রাজ্যবর্ধন রাঠোর রাহুলকে তোপ দেগেছিলেন। রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়াও। তাঁর দাবি, রাহুলকে দল থেকে বহিষ্কার করুক কংগ্রেস। রাহুল বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধের ছক কষছে চিন। যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে। আমাদের সরকার তা মানতে চাইছে না।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, “চিন লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ভারত সরকার ঘুমোচ্ছে!” চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনা ‘মার খেয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। পাকিস্তান এবং চিন নিয়ে এদিনের মন্তব্য ছিল তারচেয়ে আলাদা।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের আকাশে ফের পাকিস্তানি ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ]
প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে রাহুলকে বলতে দেখা যায়, “আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং সীমান্ত পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। একসময় মনে করা হত ভারতের তিন শত্রু- চিন, পাকিস্তান এবং সস্ত্রাসবাদ।” রাহুলের বক্তব্য সেই পরিস্থিতি বদলায়নি। কিন্তু বর্তমানে “চিন এবং পাকিস্তান একসঙ্গে জুড়েছে। যদি কোনও যুদ্ধ বাধে তা হলে ভারতকে এই দুই দেশের সঙ্গেই একযোগে লড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে এক বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। ভারত এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায়।” সেনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর কথায়, “সেনার প্রতি শুধু সম্মানই নয়, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধাও রয়েছে আমার। আপনারাই দেশকে রক্ষা করেন। আপনাদের ছাড়া এই দেশ থাকবেই না।”
[আরও পড়ুন: ‘সাংসদ হয়েও মদ্যপ ছেলেকে বাঁচাতে পারিনি’, নেশামুক্তির বার্তা শোকাতুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
এরপরে আজকের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন রাহুল। অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখে যা ঘটছে তা নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন, সেকথা জানান। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “চিন এবং পাকিস্তান কিন্তু একসঙ্গে আমাদের একটা বড় চমক দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আর সে কারণেই আমি বারবার বলছি সরকারের হাত গুটিয়ে বসে থাকার সময় নয় এটা। সীমান্তে কী ঘটছে তা দেশবাসীকে খোলসা করে বলা প্রয়োজন সরকারের। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আজ থেকেই নিতে শুরু করতে হবে। ” কংগ্রেস নেতা যোগ করেন, “আসলে পাঁচ বছর আগেই কাজ শুরু করা উচিত ছিল, কিন্তু হয়নি। যদি আজও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে বড় বিপর্যয়ের সামনে পড়তে হবে আমাদের।”