সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতির ময়দান এখন কর্ণাটক ভোট নিয়ে সরগরম। কর্ণাটক নির্বাচনের পর একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ছে বিজেপি। আর এর পরেই তপ্ত হয়ে উঠেছে একাধিক রাজ্য। গোয়া, বিহারের মতো রাজ্যগুলি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, যদি কর্ণাটকে একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি মসনদে বসতে পারে, তবে এই রাজ্যগুলিতে এই নিয়ম কেন চালু হবে না?
[ রমজান মাসে সীমান্তে অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের ]
এই নিয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তরফে তেজস্বী যাদব বিহারের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালকে দলের তরফে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। তবে শুধু রাষ্ট্রীয় জনতা দল নয়। জোটের অন্য সদস্যরাও তেজস্বীর সঙ্গে রাজ্যপালকে চিঠি দেন। কংগ্রেস ও সিপিএমের তরফ থেকেও দেওয়া হয় চিঠি। সেই চিঠিতে জানানো হয়, বিহারে একক বৃহত্তম দল হল আরজেডি। যদি কর্ণাটকে বিজেপি সরকার গড়তে পারে, তবে বিহারে আরজেডি পারবে না কেন?
সমস্যার মেঘ যে ঘনীভূত হচ্ছে, তার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল গতকাল থেকেই। গতকাল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইয়েদুরাপ্পার শপথের পর একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এক যাত্রায় কেন পৃথক ফল হবে এই দাবিতে সরব হয় বিরোধী দলগুলি। কর্ণাটকে যদি বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও সরকার গড়তে পারে তাহলে গোয়ায় একই নিয়মে সরকার গড়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। গতবছর গোয়া বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্থানীয় দল এবং নির্দলদের সমর্থনে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যায় বিজোপি। সরকার গড়ে তারাই। এই ইস্যু তুলে গোয়ার রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে কংগ্রেস যাবে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন করে কংগ্রেসকে সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
[ রপ্তানি ক্ষেত্রে আয় বাড়ল ৫.১৭ শতাংশ, স্বস্তিতে কেন্দ্র ]
বিহারেও একই দাবি জানায় আরজেডি। ২০১৫ বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল ছিল তারা। জেডিইউ ও কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে সরকারও গড়েছিল। কিন্তু পরে বিজেপির সমর্থনে নতুন করে সরকার গড়ে জেডিইউ। আরজেডির দাবি, বিহারে তারাই বৃহত্তম দল, তাই সরকার গড়ার অধিকার তাঁদেরই পাওয়া উচিত। এই নিয়েই আজ রাজ্যপাল সত্যাপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করেন তেজস্বী যাদব।
The post একক বৃহত্তম দল আরজেডি, বিহারে সরকার গড়ার দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ তেজস্বী appeared first on Sangbad Pratidin.