সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। স্বীকৃতি পেল সমলিঙ্গের বিয়ে (Marriage Equality Bill)। ভারতে নয় থাইল্যান্ডে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে প্রথমবার থাইল্যান্ডের সেনেট আইনি স্বীকৃতি দিল সমলিঙ্গের বিয়েকে। সেনেটের ১৫২ সদস্যের মধ্যে ১৩০ জন ভিন্ন ধারার বিয়ের পক্ষে ভোট দিলেন। বিরোধিতা করেন ৪ জন। ভোটাভুটিতে অংশ নেননি ১৮ জন সদস্য।
সেনেটে বিল পাশ হলেও এখনও বাকি রাজা মহা বাজিরালংকর্ণের স্বাক্ষর। রাজার স্বাক্ষরের ১২০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে আইন। ঐতিহাসিক বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যে কোনও লিঙ্গের মানুষকে বিয়ে করতে পারেন। এর জন্য কোনও অধিকার থেকেই বঞ্চিত হবেন না তাঁরা। তবে স্বামী-স্ত্রী বলে কাউকে চিহ্নিত করা হবে না। বদলে 'ম্যারেজ পার্টনার' বা 'বিবাহিত সঙ্গী' বলা হবে। অন্যদিকে বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষ বা মহিলা নয়, ইন্ডিভিজুয়াল বা স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হবে।
[আরও পড়ুন: থানার সিসি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে, ডেবরার BJP কর্মীর মৃত্যুতে নির্দেশ হাই কোর্টের]
থাইল্যান্ড প্রগতিশীল দেশ হিসেবেই পরিচিত। সাধারণত সেখানে কোনও ধরনের গোঁড়ামি দেখা যায় না। তবে সমলিঙ্গ বিয়ের এই স্বীকৃতি সহজে আসেনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আইনে পরিণত হল স্বতন্ত্র ব্যক্তির সমলিঙ্গের বৈবাহিক আইন। ভারতের মতোই সে দেশেও মূল প্রশ্ন ছিল, সাধারণ জনতা সমলিঙ্গের বিয়েকে কীভাবে গ্রহণ করবে। তবে শেষ পর্যন্ত সমকামীদের পক্ষেই গেল রায়। উল্লেখ্য, ভারতে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও সমলিঙ্গের বিয়ের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।