সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে জনসংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে একটি অভিনব উপায় বের করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। বিয়েতে নবদম্পতিদের আশীর্বাদস্বরূপ উপহার বা শগুন হিসেবে কন্ডোম দেবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
[জানেন, কেন ধর্মান্তরিত হলেন এই মুসলিম আইনজীবী?]
আগামী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে উত্তরপ্রদেশে মিশন পরিবার বিকাশ নামে একটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এই প্রকল্পে নবদম্পত্তিদের এই উপহার বা শগুন দেওয়া হবে। সরকারের তরফে এই শগুন নবদম্পতিদের কাছে পৌঁছে দেবেন স্থানীয় আশাকর্মীরাই। জানা গিয়েছে, একটি শগুন বা উপহার আসলে হল একটি কিট। যাতে থাকবে কন্ডোম, গর্ভ নিরোধক ওষুধ। থাকবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি চিঠি। চিঠিতে লেখা থাকবে পরিবার পরিকল্পনা উপযোগিতা, ২ সন্তানের মধ্যে ন্যূনতম কত বছরের ব্যবধান থাকা উচিত-সহ জন্মনিয়ন্ত্রণের স্বপক্ষে নানা যুক্তি। তবে শুধু কন্ডোমই নয়, ওই কিটে থাকবে তোয়ালে, রুমাল, নেল কাটারের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রীও। মিশন পরিবার বিকাশ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অবিনাশ সাক্সেনা জানিয়েছেন, নবদম্পতিদের বিবাহিত জীবনের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
[এবার ভুঁড়িতেই আটকে যাবে আইপিএস কর্তাদের পদোন্নতি]
কিন্তু, উত্তরপ্রদেশে তো নিরক্ষর দম্পতির সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। তাহলে নিরক্ষর দম্পতিরা কী সরকারি উদ্যোগে পরিবার পরিকল্পনার পাঠ থেকে বঞ্চিত হবেন? একেবারেই না। তাদের জন্যও বন্দোবস্ত করে রেখেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশের ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের ডিরেক্টর অলোক কুমার জানিয়েছেন, যে আশাকর্মীরা নবদম্পতিদের হাতে এই কিট তুলে দেবেন, তাঁরাই গোটা বিষয়টি বুঝিয়েও দেবেন। তিনি বলেন, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের চিঠি পড়ার পর নবদম্পতিদের মনে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে, তার জবাব দেবেন আশাকর্মীরাই। এমনকী, নবদম্পতিদের সঙ্গে আশাকর্মীদের কথোপকথনের রেকর্ডও সরকারের কাছে থাকবে। যোগী আদিত্যনাথের সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত সমাজকর্মীরা।
[বিয়ের আসরে এল না পাত্রী, ক্ষতিপূরণের দাবি পাত্রের
The post নবদম্পতিদের আশীর্বাদস্বরূপ কন্ডোম উপহার যোগী সরকারের appeared first on Sangbad Pratidin.