সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবেরী নদীর জলবণ্টন নিয়ে কর্নাটক (Karnataka) ও তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) অশান্তি অব্যাহত। এবার কন্নড়পন্থী প্রবীণ সমাজকর্মী ভাটাল নাগরাজ ২৯ সেপ্টেম্বর কর্নাটক বন্ধের ডাক দিলেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর একই ইস্যুতে বারো ঘণ্টা বেঙ্গালুরু বনধের ডাক দিয়েছে রাজ্যের কৃষক সংগঠন এবং কন্নড়পন্থী একাধিক গোষ্ঠী।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আরও পনেরো দিন তামিলনাড়ুকে ৫ হাজার কিউসেক জল দেবে কর্নাটক। যদিও তামিলনাড়ুর তরফে দাবি করা হয়েছিল ১২ হাজার ৫০০ কিউসেক জলের। এ বিষয়ে জলবণ্টন কমিটির এক আধিকারিক জানান, বৈঠকে কর্নাটকের পক্ষ থেকে ৩০০০ কিউসেক জল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যেখানে তামিলনাড়ুর পক্ষ থেকে ১২,৫০০ কিউসেক জলের দাবি রাখা হয়েছিল। এরপর দুপক্ষের মধ্যে ৫০০০ কিউসেক জল নিয়ে চুক্তি হয়। যা আগামী আরও পনেরো দিন তামিলনাড়ুকে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘শহুরে নকশাল’দের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কংগ্রেসের, তোপ মোদির]
এই সিদ্ধান্তেও আপত্তি তুলেছে কর্ণাটকের কৃষকরা। তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুকে বেশি জল দেওয়ার প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরু বনধের ডাক দেয় তারা। এবার ২৯ সেপ্টেম্বর গোটা কর্ণাটক বনধের ডাক দিলেন প্রখ্যাত কন্নড়পন্থী সমাজকর্মী ভাটাল নাগরাজ। সোমবার এক বৈঠকের পর নাগরাজ জানান, কন্নড়পন্থী সংগঠনগুলো এই বনধের সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, কৃষক সংগঠন, লেখক, ব্যবসায়ী সকলের উচিত ২৯ সেপ্টেম্বরের বনধকে সমর্থন করা।
[আরও পড়ুন: ওয়ানড় ছাড়ুন রাহুল, চাইছে সিপিআই! ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে কি ফাটলের ইঙ্গিত?]
প্রসঙ্গত, ২৬ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরু বনধে অটো ও অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা বন্ধ থাকবে। চালক সংগঠনগুলো কৃষকদের দাবিকে সমর্থন করেছে। বিক্ষোভকারীরা স্কুল, কলেজ, আইটি সংস্থাগুলিকে মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণার জন্য অনুরোধ করেছে। রাজ্য সরকারের কাছে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন কৃষকনেতা কুরুবুরু শান্তাকুমার। বনধের দিন বেঙ্গালুরুতে বিরাট মিছিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও কর্নাটক স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে বাস নামানো হবে। অর্থাৎ তেমন তেমন অবস্থায় বাসও বনধও থাকতে পারে। ২৯ সেপ্টেম্বরের বনধে রাজ্যজুড়ে কতখানি প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার।