স্টাফ রিপোর্টার: নোটে নয়। ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, কিংবা গুগল পে, পেটিএম-এর মতো অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপে দিতে হবে গাড়ি পার্কিংয়ের টাকা। বুধবার ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে উদ্বোধন হল কলকাতা পুরসভার স্মার্ট পার্কিং অ্যাপের। যে কোনও অ্যানড্রয়েড মোবাইল থেকে ডাউনলোড করা যাবে নতুন অ্যাপ্লিকেশন।
সুবিধা কী? আন্দাজে ঢিল ছোঁড়া নয়। বাড়িতে বসেই গাড়ির মালিক জানতে পারবেন কোন এলাকায় পার্কিং ফাঁকা আছে। কোথায় ভরতি। ভরতি থাকলে নিকটবর্তী পুরসভার পার্কিং আর কোথায় রয়েছে তাও জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। কলকাতা পুরসভার পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, গাড়ি রাখা নিয়ে অগুনতি অভিযোগ জমা পড়ছিল। ইচ্ছেমতো টাকা নিচ্ছিলেন পার্কিং ফি এলাকার কর্মীরা। এবার সে সুযোগ নেই। এক ঘণ্টা গাড়ি রাখতে পুরসভা কত টাকা নির্ধারিত করেছে তা দেখা যাবে অ্যাপ্লিকেশনে। নগদে টাকা নিতে পারবেন না কর্মীরা। পয়েন্ট অফ সেলস বা পস মেশিনের মাধ্যমে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড কিংবা কিউআর কোড স্ক্যান করে অনলাইনে টাকা দিতে পারবেন গাড়ির মালিক। এদিন প্রাথমিকভাবে ১২৫টা মেশিন দেওয়া হল কলকাতা পুরসভার ৬৮টি এলাকার কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির দূত’ শতাব্দীর কাছে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবদার, পরিবেশন করে খাওয়ালেন মহুয়া]
মনে করা হচ্ছে, নতুন অ্যাপ কমাবে যানজটও। ইচ্ছেমতো গাড়ি পার্ক করতে পারবেন না গাড়ির মালিক। গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করাতে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারবেন না পার্কিং কর্মীরাও। দেবাশিস কুমারের বক্তব্য, কোনও পার্কিংয়ে পঞ্চাশটা গাড়ি রাখা গেলে তার একটাও বেশি রাখার উপায় নেই। যতক্ষণ না একটা গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে পস মেশিনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যাবে না। অ্যাপ্লিকেশন এমনই নিখুঁত!
নয়া পার্কিং অ্যাপ উদ্বোধনে হাজির ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কথায়, ‘‘২০১৮-১৯ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল এই অ্যাপ্লিকেশন। সেটা আবার নতুন করে লঞ্চ করল। এই অ্যাপ্লিকেশন কলকাতা পুলিশের সার্জেনদের কাজ অনেক সহজ করে দেবে।’’ চারচাকা গাড়ির জন্য চালু হলেও এখনও মোটরবাইক, স্কুটারের জন্য অ্যাপ্লিকেশনের বিকল্প নেই। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, খুব শীঘ্রই দু’ চাকার গাড়িও যুক্ত করা হবে স্মার্ট পার্কিং অ্যাপে।