সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগাল্যান্ডের জন্য পৃথক পতাকা তথা পৃথক নাগালিম রাষ্ট্রের দাবি আরও জোরাল হচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশাপাশি এবার তথাকথিত মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলিও এই দাবিতে সরব হচ্ছে। নাগাল্যান্ডের বিরোধী দল এনপিএফ এবার পৃথক পতাকার দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল। এনপিএফের একটি প্রতিনিধিদল নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল তথা ভারত-নাগা আলোচনার মধ্যস্থতাকারী এন রবির সঙ্গে দেখা করে একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ভারত সরকার গোজামিল দিয়ে শান্তি চুক্তির পরিকল্পনা না করে নাগাদের সব দাবি মেনে নিক। পৃথক পতাকা এবং সংবিধান নাগাদের ন্যায্য অধিকার।
[আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে আস্থা কমেছে মানুষের, রিপোর্টে দাবি রিজার্ভ ব্যাংকের]
নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, অসম ও মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে নাগা স্বাধীনভূমি বা ‘নাগালিম’ গড়ার ডাক বহুদিনের৷ এই দাবিতে অনেক দিন ধরেই জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন৷ সংগঠনটি দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মুইভা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্র৷ কিন্তু সমস্ত আলোচনার থমকে আছে এনএসসিএনের দুটি দাবির উপর। পৃথক পতাকা এবং পৃথক সংবিধান। এনএসসিএন (আই-এম)-এর প্রধান আইজ্যাক মুইভা জানিয়েছেন, স্বাধীন নাগালিমের দাবিতে এত দশকের আন্দোলন ও রক্ত ঝরানোর পরে সংবিধান ও পতাকার দাবি ছেড়ে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে, ভারত সরকার কোনওভাবেই এই দুটি দাবি মানতে নারাজ। যে কারণে এনএসসিএনের সঙ্গে সমস্তরকম শান্তি আলোচনার রাস্তা আপাতত বন্ধ।
[আরও পড়ুন: নিরামিষ পদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ণ মোদির, হাসাহাসি রাজনৈতিক মহলে]
এনএসসিএন এই শান্তি চুক্তিতে অন্য কোনও সংগঠনকে ডাকতে রাজি নয়। এদিকে, নাগাল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দল চাইছে, পৃথক পতাকা এবং সংবিধানের দাবি বজায় রেখেই সমস্ত সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করুক কেন্দ্র। কিন্তু, কোনওভাবেই পৃথক পতাকা ছাড়তে রাজি নয় তাঁরা। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারার জন্য বিশেষ মর্যাদা ভোগ করত জম্মু-কাশ্মীর৷ একইভাবে নাগাল্যান্ড-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বাকি রাজ্যগুলিও ৩৭১ ধারার ফলে বিশেষ কিছু সুবিধা পায়৷ তাই ৩৭০ ধারা বিলুপ হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে সেখানের মানুষের মধ্যে৷ ফলে নাগা জাতীয় পতাকা উত্তোলন একপ্রকার বিচ্ছিন্নতাবাদী পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে৷
The post আরও জোরাল নাগাল্যান্ডের পৃথক পতাকার দাবি, এবার আসরে বিরোধীরাও appeared first on Sangbad Pratidin.