সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজধানীর ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার পড়ুয়াকে শ্লীলতাহানি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবারই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতিতা ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষা চলছে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে। পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বাইরের কিছু শিক্ষককে পরীক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গত বুধবার পরীক্ষার সময়ে নাটকের কয়েকটি চরিত্র অভিনয় করে দেখাতে বলা হয় ওই ছাত্রীকে। নির্দেশটি দিয়েছিলেন হলে উপস্থিত পরীক্ষক। এই নির্দেশে পাওয়ার পরেপরেই সংশ্লিষ্ট ভঙ্গিমাগুলি করে দেখান ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময়ই আপত্তিকরভাবে তাঁকে ছুঁয়ে দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। প্রথমবার ভেবেছিলেন অসবাধানে হাত লেগেছে। কিন্তু বেশ কয়েকবার একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তিনি বুঝতে পারেন ইচ্ছে করেই এমনটা করা হচ্ছে। এরপরই থানায় গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্ত পরীক্ষকের নাম জানা যায়নি। তবে ৬২ বছরের পরীক্ষক একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
[সোপিয়ানে খতম ৫ জঙ্গি, এলাকায় জোর তল্লাশি ভারতীয় সেনার]
উল্লেখ্য, বাসে, ট্রেনে, পথেঘাটে, দোকানে, বাজারে, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্তার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি বিহারে স্কুল শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে নাবালিকা। দিল্লি, মুম্বই, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, কাশ্মীরে গণধর্ষণ কাণ্ড আলোড়ন ফেলেছে। নির্ভয়াকাণ্ড নিয়ে চূড়ান্ত রায় জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও হেলদোল নেই। অনেকের মতে, শিক্ষকদের দ্বারা যৌন হেনস্তার শিকার হওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। লোকলজ্জার ভয়ে অনেক সময়ই নির্যাতিতারা মুখ খোলেন না। কিছুদিন আগেই একই সঙ্গে তিন শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছিল এক নাবালিকা। দিনের পর দিন ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। তখন বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে। কুকীর্তি জানাজানি হয়েছে বলে গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। পরে নির্যাতিতা জানায়, স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেবে, নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ করে দেবে, এসব ভয় দেখিয়েই তাকে চুপ করিয়ে রাখা হয়েছিল। পরীক্ষা নিতে আসা এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের এহেন নক্ক্যারজনক কাজে বিতর্ক ছড়িয়েছে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার অন্দরেই। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[আধার কর্তৃপক্ষের নম্বর বিভ্রাটের কারণ প্রকাশ্যে, দায় স্বীকার নামী সংস্থার]