সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ ভাইরাস করোনার মারে বেসামাল দেশের অর্থনীতি। বিগত সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনের জেরে অর্থনীতি যে ভীষণরকম ধাক্কা খাবে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ বিগত কয়েক মাস ধরেই ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে থাকার ফলে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন। গত সোমবার সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, জুন ত্রৈমাসিকে দেশের GDP সংকুচিত হয়েছে ২৩.৯ শতাংশ। আর এই ঠিক বিষয়টি নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নজিরবিহীন তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
দেশের অর্থনীতির সঙ্গে পাবজি ব্যান প্রসঙ্গে টেনে এনে খানিক ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই মোদিকে বিঁধেছেন নুসরত। সাংসদের মন্তব্য, "এখন না পাবজি ফিরে আসবে না দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হবে! মোদিবাবু জিডিপি বেকাবু।"
[আরও পড়ুন: ‘ড্যাড’-এর জন্য মাদক চাই! রিয়ার ভাইয়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য]
এই অবশ্য প্রথম নয়। দিন কয়েক আগে করোনা কালে দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিয়েও মোদির উদ্দেশে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। অর্থনীতি ধাক্কা খাওয়ার ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে যে হারে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান রীতিমতো কপালে ভাঁজ ফেলে দেওয়ার মতো। কর্মসংস্থানের অভাব, ফাঁকা পকেট নিয়ে যুবপ্রজন্মের একাংশ উদ্বিগ্ন। কেউ কেউ তো আবার পেটের তাগিদে রাস্তায় ফল-সবজিও বিক্রি করতে বসেছেন।
অর্থনীতির এহেন সংকোচনে রীতিমতো ধাক্কা খেলেও তা প্রত্যাশিত ছিল বলেই মত অর্থনীতিবিদদের। বিশ্লেষকদের মতে, এপ্রিল, মে ও জুন-এই তিন মাসে দেশজুড়ে প্রায় ৬৮ দিনের লকডাউন ছিল। ওই সময় সমস্ত কল-কারখানা, অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খেছে উৎপাদন। উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে মে মাসের ২৫ তারিখ প্রথম লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও বেশ কয়েকটি রাজ্যে লাগু রয়েছে বিধিনিষেধ। এছাড়া, যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও বন্ধ। তবে অর্থনীতিবিদের একাংশের মতে, করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই ভারতের GDP বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অনেকটাই থমকে আর্থিক বৃদ্ধির হার। ফলে অর্থনৈতিক সংকোচনের জন্য শুধুমাত্র করোনাকেই দায়ী করা উচিত নয় বলেও মনে করছেন অনেকে। আর দেশের এই অর্থসংকট নিয়ে এবার মোদিকে বিঁধলেন নুসরত জাহান।