সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) নির্বাচনের ঠিক আগে ধুন্ধুমার যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) মন্ত্রিসভায়। দলিত সম্প্রদায়কে অবহেলার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দল ছেড়েছিলেন যোগী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। বুধবার একই অভিযোগে মন্ত্রিসভা ছাড়লেন আরও এক মন্ত্রী দারা সিং চৌহান। কেবল এই দুই মন্ত্রীই নন, গত দু’দিনে চারজন বিধায়কও বিজেপি ছেড়েছেন।
বলা হয়, দিল্লি আসতে গেলে উত্তরপ্রদেশ হয়েই আসতে হয়। কেন্দ্রের রাজনৈতিক ক্ষমতার ভরকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। আর সেই কারণেই আগামী ফেব্রুয়ারির উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের দিকে নজর গোটা দেশের। ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে পুরোদস্তুর। সেই পরিস্থিতিতে এতজন নেতার গেরুয়া শিবির ত্যাগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মত সকলের।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে হ্যাক কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেল, বদলে ফেলা হল নামও]
বুধবার পদত্যাগপত্রে দারা সিং চৌহান লিখেছেন, ‘‘আমি নিষ্ঠার সঙ্গেই কাজ করতাম। কিন্তু দলিত, কৃষক, পিছিয়ে পড়াদের প্রতি সরকারের দমনমূলক মনোভাব ও অবহেলা আমাকে আহত করেছে।’’ তাঁর চিঠির বয়ানের সঙ্গে মিল রয়েছে স্বামীপ্রসাদ মৌর্যর চিঠির। ভোটের ঠিক আগে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর শিবির ত্যাগ নিঃসন্দেহে বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা। অন্যদিকে স্বামীপ্রসাদের পথে হেঁটে বাকিরাও সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যা অখিলেশ যাদবরে দলকে ভোটে বাড়তি অক্সিজেন দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, দারা সিং অবশ্য প্রথমে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিতে ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিএসপির সাংসদ থাকার পর ২০১৫ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁকে বিজেপির ওবিসি শাখার জাতীয় সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
[আরও পড়ুন: COVID-19: ‘কোভিড জয় করেছি, ওমিক্রনও রুখে দেব’, রাজ্যবাসীকে অভয়বাণী মুখ্যমন্ত্রীর]
তবে এই মন্ত্রী-বিধায়কদের বিজেপি ছাড়ার ঘটনায় বিস্মিত নয় ওয়াকিবহাল মহল। গত বছরও তাঁদের যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল। যোগীর ‘ঔদ্ধত্য’কে কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গিয়েছিল দলের অনেককে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন এই বিদ্রোহী নেতারা। এবার নির্বাচনের ঠিক আগেই দল ছাড়লেন তাঁরা। জমিয়ে দিলেন ভোটরঙ্গ।