নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পুলিশ হয়ে পুলিশকর্মীদের মারধর! সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে সাসপেন্ড হচ্ছেন বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখ। তাঁকে-সহ পরিবারের ৬জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের ছুটিতে মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাড়ি গিয়েছিলেন আশরাফুল। দুদিন আগে তাঁর বিয়ে হয়। ছুটিতেই ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাতে মাকে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে নিয়ে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সদ্য বিবাহত স্ত্রী, ভাই, বাবা ও আরও দুজন। অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন আশরাফুল। সেই সময় মায়ের চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা বাধে। অভিযোগ তখন আশরাফুল এক চিকিৎসক ও দুই নার্সকে হেনস্তার পর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান লালগোলা থানার ওসি অতনু হালদার, এসআই কল্যাণ সিংহ রায় ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ার।
তাঁদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান অভিযুক্ত আশরাফুল। অভিযোগ, ওসি অতনু দাসের গলা টিপে ধরেন আশরাফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। আরও অভিযোগ এসআই কল্যাণ সিংহ রায়ের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়। বাধা দিতে গেলে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁশ দিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ওই পুলিশকর্মী-সহ পরিবারের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযুক্ত নিজের পুলিশি পরিচয় সামনে আনেন। জানান, তিনি সিউড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ। তবে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, অভিযুক্ত আশরাফুল ক্রাইম ব্যুরোর ওসি পদে কর্মরত। আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন বীরভূম পুলিশ সুপার।
এই প্রথম নয়, এর আগে কীর্ণাহার থানার ওসি থাকাকালীন এক ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ১০ হাজার টাকা নেন বলেও অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর দিদিকে বলো কর্মাসূচিতে ওই ব্য়ক্তি অভিযোগ জানালে আশরাফুলকে বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি পদে পাঠানো হয়। এবার বাড়ি ফিরে পুলিশকর্মীদের মারধর, সরকারি হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।