সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাপের বাড়ির আনাচে-কানাচে বড়ই আপন। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেলে যে রীতি মেনে শ্বশুরবাড়ি যেতেই হয়। আর সাত পাকে বাঁধা পড়ার পর শ্বশুরবাড়ির দিকে পা বাড়ালে কনের কান্নায় ভেঙে পড়ার ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু ওড়িশার (Odisha) সোনপুরে যা ঘটল, তা নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক। তীব্র কান্নায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণই হারালেন তিনি।
এক ঝটকায় বিবাহ আসরের আনন্দ বদলে গেল শ্মশানের নিস্তব্ধতায়। জুলুন্দার বাসিন্দা গুপ্তেশ্বরী সাহু ওরফে রোসি সাহু বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন শুক্রবার। স্বামী বিসিকেসন টেটেলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। সাধ্যমতোই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবার। পরিকল্পনা মতোই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু গোল বাঁধে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নেওয়ার সময়।
[আরও পড়ুন: অসমে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জালুকবাড়ি থেকে ময়দানে হিমন্ত বিশ্বশর্মা]
রোজির পরিবার তাঁকে বিদায় জানানোর জন্য তৈরিই ছিলেন। মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে যা যা আচার-রীতি থাকে, সেসবও পালন করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরই তাল কাটে। অভিভাবকদের ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে তারস্বরে কাঁদতে শুরু করেন রোজি। কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুকিয়ে পড়েন তিনি। সকলে তড়িঘড়ি তাঁর হাত-পা ঘষে, চোখে-মুখে জল দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু কিছুতেই তাঁর চেতনা ফিরছে না দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা। আর বিলম্ব না করে রোজিকে নিয়ে যাওয়া হয় দুঙ্গুরুপলি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের পর তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ দুই পরিবারই। সংসার পাতার আগেই এভাবে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ। জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছেন রোজি। বাবার মৃত্যুর শোকে বেশ চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন। বিয়ের হতেই তাঁর জীবনেও ইতি পড়ল।