ওড়িশা –৫ মোহনবাগান–২
(রয় কৃষ্ণ, দিয়েগো,গোডার্ড, অনিকেত,আইজ্যাক) (বুমো, কিয়ান)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এএফসি কাপ অভিযান শেষই হয়ে গেল মোহনবাগানের।
সোমবার যুবভারতীতে ওড়িশা এফসি কার্যত ছেলেখেলা করল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেদের নিয়ে। সের্জিও লোবেরার ওড়িশার কাছে ৫-২ গোলে পরাস্ত হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে হারায় মাজিয়াকে। ফলে গ্রুপ ডি-র এখন যা পরিস্থিতি তাতে শীর্ষে বসুন্ধরা। দুনম্বরে ওড়িশা। মোহনবাগান নেমে গেল তিন নম্বরে। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত ছিটকেই গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড তা বলাই যায়।
[আরও পড়ুন: ব্যাটে প্যালেস্টাইনের পতাকা, মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হল প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের ছেলেকে]
ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এই ওড়িশাকে ৪-০ গোলে মাটি ধরিয়ে এএফসি কাপে অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু তার পরে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায়। চোট আঘাত মোহনবাগানের কাজ আরও কঠিন করে তোলে। কে আশিক, আনোয়ার বহুদিন ধরেই চোটের কবলে। ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতে জোড়া গোল করেছিলেন পেট্রাতোস। সেই তিনি চোটের জন্য বাইরে। বাইরে মনবীরও। শুরু দেখে শেষ বিচার করা যায় না।
এদিনও সেরকমই এক দিন ছিল। প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানই। হুগো বুমো ওড়িশার পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে জায়গা করে যে শট নেন, তার জবাব ছিল না অমরিন্দরের কাছে। খেলার বয়স তখন ১৭ মিনিট।
ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরান রয় কৃষ্ণ। অতীতে মোহনবাগানের হয়ে ফুল ফুটিয়েছেন তিনি। সেই কৃষ্ণই ২৯ মিনিটে সমতা ফেরান ওড়িশার হয়ে। সমতা ফেরানোর তিন মিনিটের মধ্যেই ওড়িশার হয়ে ব্যবধান বাড়ান দিয়েগো মরিসিও। বিরতির ঠিক আগে গোডার্ড ৩-১ করেন। মোহনবাগান রক্ষণে তখন হাঙরের হাঁ।
বিরতির পরে ফেরান্দো কিয়ান নাসিরিকে পরিবর্ত হিসেবে নামান। ৬৩ মিনিটে কিয়ান ৩-২ করেন। কিছুক্ষণ পরে পায়ের কাজে ওড়িশার ডিফেন্সকে বিভ্রান্ত করে কিয়ান বাঁ পায়ের জোরালো শট নেন। কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ের শট বাইরে চলে যায়। ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। কিন্তু কাপের সঙ্গে ঠোঁটের যে দূরত্ব তা থেকেই গেল। উলটে খেলার একেবারে শেষ লগ্নে অনিকেত যাদব এবং আইজ্যাক ৫-২ করে যান ওড়িশার হয়ে। তখন আর ফেরার উপায় ছিল না মোহনবাগানের। ওড়িশার কোচ সের্জিও লোবেরা প্রথম সাক্ষাতে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন যুবভারতীতে এসে।