ওড়িশা–৩ ইস্টবেঙ্গল–১
(দিয়েগো-২, নন্দ কুমার) (ক্লেটন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাপমুক্তি আর হল না। ওড়িশার কাছে সেই হারতেই হল ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। অথচ শুরুটা দেখে কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছিলেন এমন শোচনীয় পরিণতি হবে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের টিমের? খেলার ১০ মিনিটে ক্লেটন দুরন্ত গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ যত গড়াল ততই খেলা থেকে হারিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। উলটে ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিল ওড়িশা। ম্যাচ হেরে আইএসএলে (ISL) নিজেদের অবস্থা কঠিন করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। প্লে অফের রাস্তা কঠিন হল ক্লেটনদের।
ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতের দুঃসহ স্মৃতি এখনও দগদগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে। ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪ গোল খেয়ে ম্যাচ হেরেছিল সাহেব কোচের দল। তাও আবার ঘরের মাঠে। এদিনও কি নিজেদের খেলার কোনও উন্নতি ঘটল? ক্লেটনের ওরকম দুরন্ত গোলের পরেও তিন-তিনটি গোল হজম করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ওড়িশার দিয়েগো মরিসিওকে আটকানোই গেল না। তিনি একাই জোড়া গোল করলেন। বাকি গোলটি করলেন নন্দ কুমার।
[আরও পড়ুন: ‘রোনাল্ডোকে ব্রেকফাস্ট সাজিয়ে দিতে পারে ও’, আল নাসের কোচকে কটাক্ষ প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবলারের]
লিমার পাস ধরে ক্লেটন আগুয়ান ওড়িশা গোলকিপার অমরিন্দরের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান। এর ঠিক ১২ মিনিটেই সমতা ফেরায় ওড়িশা। কর্নার থেকে দিয়েগো মরিসিও পা ছুঁয়ে ১-১ করেন। ওড়িশার দ্বিতীয় গোলটি করে বিরতির ঠিক আগে। বাঁ প্রান্তে পায়ের কাজ দেখাতে দেখাতে নন্দ কুমারের বাঁ পায়ের শট ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। লাল-হলুদের বারের নীচে এদিন দাঁড়িয়েছিলেন শুভম সেন। চোট সারিয়ে ম্যাচ ফিট হননি কমলজিৎ। তাঁর জায়গায় লাল-হলুদের গোল আগলানোর দায়িত্বে ছিলেন শুভম। নন্দ কুমারের শট তাঁর নাগাল এড়িয়ে গোল হয়ে যায়।
বিরতির পর ভাবা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল খেলায় ফিরবে। কিন্তু ৫৩ মিনিটে দিয়েগো নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে ব্যবধান বাড়ান। ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
[আরও পড়ুন: সন্তোষ ট্রফিতে দাপুটে জয়, হরিয়ানাকে দাঁড়াতেই দিল না বাংলা]