shono
Advertisement

দক্ষিণ-পূর্ব রেলে দুর্ঘটনা নিয়ে ৩ বছর আগেই সতর্ক করে সংসদীয় কমিটি! পাত্তা দেয়নি মোদি সরকার

পরোক্ষে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী রেলের বিপুল শূন্যপদই!
Posted: 11:01 AM Jun 04, 2023Updated: 11:01 AM Jun 04, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালেশ্বরের দুর্ঘটনার নেপথ্যে রেলের গাফিলতি এবং উদাসীনতা যে অন্যতম কারণ, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়ানো শুরু করেছে বিরোধীরা। এরই মধ্যে আবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন রুটে যে সঠিকভাবে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে না, সেটা ২০১৯ সালেই জানিয়েছিল রেল সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। ৩ বছর আগেই সতর্ক করা হয়েছিল, দক্ষিণপূর্ব রেলে বিপুল শূন্যপদের জন্য দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।

Advertisement

২০১৯ সালে সংসদ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, “এই কমিটির অনুসন্ধান অনুযায়ী কর্মীর অভাবে এই রুটে রেলের ব্রিজ এবং ট্র্যাকগুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মীর পদ এখনও শূন্য। এই কর্মীর অভাবে রেলে যাত্রী নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ থেকে যাচ্ছে। মন্ত্রকের (Rail Ministry) এই উদাসীনতা বিপদ ডেকে আনতে পারে।” ২০১৯ সালে রেল সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি এই রিপোর্ট দিলেও কেন্দ্র সেটাকে পাত্তা দেয়নি। দক্ষিণ পূর্ব রেলে নতুন করে কর্মী নিয়োগ হয়নি। উলটে শূন্যপদ আরও বেড়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের! দক্ষিণেশ্বর ডাউন লাইনে ব্যাহত পরিষেবা]

২০২৩ সালের হিসাব বলছে, ৯৬ হাজার ৫৮২টি নন গেজেটেড পদের মধ্যে এখনও ১৭ হাজার ৮১১টি পদ শূন্য। ৯৩৭টি গেজেটেড পোস্টের মধ্যে ১৫০টি শূন্য। হিসাব বলছে দক্ষিণ পূর্ব এবং দক্ষিণ রেলে প্রচুর লোকো পাইলট পদে কর্মী নেই। এই দুই রেল মিলিয়েই সাতশোর বেশি লোকো পাইলট নিয়োগ করা দরকার। অথচ সরকার সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না কবচও। প্রায় ৬ মাস আগে এই প্রযুক্তি ছাড়পত্র পাওয়া সত্ত্বেও দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ রুটে এখনও কবচ নেই।

[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খড়গপুর-ভদ্রক লাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে কবে?]

২০১৯ সালে সংসদীয় কমিটির সেই সতর্কবার্তা কেন্দ্র মেনে নিলে আদৌ বালেশ্বরের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত কিনা, সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু তাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যে অনেকটা কমে যেত, তাতে সংশয় নয়। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ছোটবড় মোট ৬৩৮টি রেল দুর্ঘটনা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে পাটনায় রেল দুর্ঘটনায় দেড়শোর বেশি মানুষ মারা যান। ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষধামে দুর্ঘটনা, ২০১৭ সালে পুরী-হরিদ্বার উৎকল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও টাটকা আমনাগরিকের মনে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement