সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্য অশান্তির জেরে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে খুন। বাড়ি থেকে তুলে দেহ ফেলে দেওয়া হল অন্যত্র। আপাতত ফেরার অভিযুক্ত মহিলা। ওড়িশার জাজপুরের ঘটনার নৃশংসতায় আঁতকে উঠছেন প্রায় সকলেই।
নিহত রাজু চাম্পিয়া (৩৯) ওড়িশার কারাডাগাডিয়ার বাসিন্দা। প্রথম পক্ষের স্ত্রী ছেড়ে চলে যায় তাঁকে। তিনবছর আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে কুনি চাম্পিয়ার সঙ্গে পুবোলা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। শনিবার সকালে রুনগুরুঙ্গা এলাকায় খালের পাশ থেকে উদ্ধার হয় রাজুর দেহ। তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্নও লক্ষ্য করা যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ লক্ষ্য করে রাজুর দেহে নেই যৌনাঙ্গ। এরপর মৃতদেহের অদূরেই যৌনাঙ্গ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘শাড়ি পরলেও তো পেট দেখা যায়’, খোলামেলা পোশাকে ট্রোলড হয়ে ফুঁসে উঠলেন ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত অঞ্জলি]
এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে রাজুর স্ত্রীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে আপাতত ফেরার। তাই প্রত্যেকেই মনে করছেন এই ঘটনার নেপথ্যে রাজুর দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে। রাজুর ভাইয়ের দাবি, “শুক্রবার রাতে রাজু ও তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়। কেন দু’জনের অশান্তি চলছিল তা আমি জানিনা। রাতে ঝগড়াঝাটির পর ভাই ঘুমিয়ে পড়ে। তারপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে আমার খুন করা হয় রাজুকে। সে ভাইয়ের যৌনাঙ্গও কেটে ফেলে।” তবে একাই বাড়ি থেকে দেহ বের করে খালে ফেলল সে নাকি ওই গৃহবধূকে অন্য কেউ সাহায্য করেছে, তা জানা নেই কারও।
এই ঘটনায় সুকিন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইসি কাবুলি চরণ বারিক জানান, এই ঘটনায় সন্দেহের তালিকার শীর্ষে রাজুর ফেরার স্ত্রী। তার খোঁজ শুরু হয়েছে। ঘটনার রাতে ঠিক কী কারণে ঝগড়াঝাটি হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।