সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের প্রকাশ স্বাভাবিক, সহজাত। সেই প্রকাশ কোনও বাধা মানে না। কত ভিড়ের মাঝেই তো প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায়! প্রেমের আবহ এমনই যে ক্ষণে ক্ষণেই মনে হয় - 'সমাজ সংসার মিছে সব/মিছে এ জীবনের কলরব...'। পাতালরেলের স্টেশন তো কী? চারপাশ কিছুটা শুনশান থাকলেও দু-একজন যাত্রী তো আছেনই। তাতে কী? প্রেমে ডুবে যেতে তো আর কোনও পরিবেশ লাগে না। তাই কোনওকিছুর পরোয়া না করে 'ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড' গড়লেন তাঁরা। খাস কলকাতার মেট্রো স্টেশনে গভীর চুম্বনরত যুগলের সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
যে ভিডিওটি সকলের টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কালীঘাট স্টেশন। আশেপাশে গুটি কয়েক যাত্রী। তাঁদের উপস্থিতি হেলায় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন...। চারপাশে যেন প্রেমের মরশুম। যাত্রীরা এই দৃশ্য দেখে এ-ওর দিকে চাইলেন। কিছু বললেনও হয়ত। চুম্বনরত তরুণ-তরুণীর উদ্দেশেও হয়ত কিছু বললেন। তবে সেকথা তাঁদের কর্ণকুহরে প্রবেশের কোনও অবকাশই নেই যে! তাঁরা তো ডুবে রয়েছেন একে অপরের অধর-ওষ্ঠে।
জনসমক্ষে এমন দৃশ্য দেখে তথাকথিত প্রাচীনপন্থীদের আপত্তি তো হবেই। বিশেষত 'মেট্রো দাদু'দের। যাঁরা কি না নারী-পুরুষকে পরস্পরকে কাছাকাছি দেখলেই অশ্লীলতা মনে করেন। ফলে চুম্বনরত যুগল তাঁদের কাছে একেবারেই 'অসভ্য'! কিন্তু নবীনের দল এদৃশ্য চাক্ষুষ করে বেশ খুশি। তাঁদের বক্তব্য, জনসমক্ষে প্রেম প্রদর্শন 'অশ্লীল' হতে যাবে কেন? সেটাই তো প্রেমের ধর্ম, স্বতঃস্ফূর্ততা। আর তাই পরস্পরের হৃদয় জয় করে সহনাগরিকদের একটা বড় অংশের কাছেও অনায়াসে 'হিরো' হয়ে এই জুটি।