সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের নার্সিংহোমে গিয়ে রোগীর হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) তুলে দিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। ইতিমধ্যেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে রোগীর। সরকারের সহযোগিতায় আপ্লুত পরিবার।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের গলসি (Galsi) ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা শেখ জাহিদ হোসেন। বয়স ৬১। পেশায় কৃষক। শনিবার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে জাহিদকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে ভরতি নিয়ে নেয় বৃদ্ধকে। কোথা থেকে চিকিৎসার খরচ আসবে তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই সময় এলাকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির কাজ চলছিল। জাহিদের কথা জানার পরই এলাকায় কাজ শেষ করে নার্সিংহোমে যান স্বাস্থ্যসাথীর কর্মীরা। সেখানেই ছবি তোলা-সহ যাবতীয় কাজ সেরে রোগীর হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
[আরও পড়ুন: অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকায় ফের বিপত্তি, ঝড়খালিতে জলে ডুবে মৃত্যু এক পর্যটকের]
প্রশাসনের এই তৎরতায় খুশি জাহিদের পরিবার। বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এর আগেও হাসপাতালে গিয়ে কয়েকজন রোগীর হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তাঁরা কার্ডের মাধ্যমে বিনা খরচে চিকিৎসা করাতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আদতে ‘ভাওতাবাজি’। ওতে আদৌ কেউ সুবিধা পাবেন না। কিন্তু তা যে সত্য নয়, ফের তা প্রমাণ করে দিল বর্ধমানের এই ঘটনা।