অর্ণব দাস, বারাকপুর: চলন্ত ট্রেন থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুট। শিয়ালদহ মেন শাখার কাঁকিনাড়া স্টেশনে বুধবার ঘটনাটি ঘটে। সর্বস্ব খুইয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নৈহাটির ওই সোনার কারিগর। যদিও ট্রেনের যাত্রী ও রেল পুলিশের চেষ্টায় তাঁর প্রাণ বাঁচে। মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,জখম প্রৌঢ়ের নাম মিলনকৃষ্ণ কর্মকার। কাঁকিনাড়া মাদারালের বাসিন্দা। বউবাজার থেকে অর্ডার এনে নিজের বাড়িতে সোনার গয়না তৈরি করতেন তিনি। কলকাতার দোকানে গিয়ে সেই গয়না পৌঁছে দিয়ে আসেন। এদিনও প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাত পাওয়া গয়না পৌঁছে দিতে বেরিয়েছিলেন মিলনকৃষ্ণ। নৈহাটি স্টেশন থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে ওঠেন তিনি। অভিযোগ, কাঁকিনাড়া স্টেশনে ঢুকতেই তাঁর হাত থেকে ব্যাগ কেড়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী।
[আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকন্যার চালকলে CBI নোটিস, ডাকা হল তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকেও]
অর্ডারি গয়না খুইয়ে মাথায় হাত পড়ে যায় ওই স্বর্ণকারের। তিনি বাড়ির সদস্যদের ফোন করেন বলেন, “যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার ক্ষমতা নেই। এত টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এত ক্ষতির পর আর বেঁচে থাকব না।” সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশকে খবর দেয় পরিবার। এদিকে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন মিলনবাবু। তবে রেল পুলিশ এবং যাত্রীদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
মিলনের জামাই বিকি মণ্ডল বলেন, মাথায় আঘাত লেগেছে। কানে থেকে রক্তপাত হচ্ছে। ব্যথাও রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওঁর সিটি স্ক্যানের দরকার রয়েছে। তাই কল্যাণী হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু চলন্ত ট্রেনে সোনার গয়না লুটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে রেলের নিরাপত্তা নিয়েও। মনে করা হচ্ছে, কেউ বা কারা মিলনের গতিবিধির দিকে নজর রাখত। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।