shono
Advertisement

OMG! করোনা কালে গঙ্গায় একনাগাড়ে সাড়ে ১১০০০ বার ডুব দিয়ে রেকর্ড হাওড়ার যুবকের

দেখেছেন ভিডিওটি?
Posted: 09:10 PM Jun 17, 2021Updated: 09:10 PM Jun 17, 2021

সুব্রত বিশ্বাস: রেকর্ডের পিছনে ছুটে সত্যিই এক অনন্য নজির গড়ে ফেললেন হাওড়ার (Howrah) যুবক। এই করোনা কালে গঙ্গায় (Ganga) এক টানা সাড়ে এগারো হাজার ডুব দিল হাওড়ার যুবক মুকেশ গুপ্তা। বৃহস্পতিবার এই দৃশ্য দেখতে হাওড়া তেলকল ঘাট এলাকার নাগাবাবা ঘাটে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই আয়োজনের সাক্ষী ছিলেন হাওড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শৈলেশ রায়-সহ এলাকার বিশিষ্টরা। মুকেশের সাফল্যকে ধন্য ধন্য করছেন সবাই।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বারো বছর থেকে মুকেশ সাঁতার (Swim) কাটছে। দশ বছরে জলের সঙ্গে সখ্যে মিলেছে বেশ কয়েকটি সম্মান। ২০১৯ আন্তর্জাতিক স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে সেন্ট মারিয়েন্ট দ্বীপে পৌঁছেছিলেন মুকেশ। ১৬ কিলোমিটার যেতে সময় নিয়েছিলেন চার ঘণ্টা আট মিনিট। কেন্দ্রের CAA বিরোধিতায় ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রতিবাদ স্বরূপ গঙ্গায় সাঁতার কেটে গিয়েছিলেন হাওড়া থেকে বেলুড় মঠ। তাঁর কীর্তির তালিকা আরও দীর্ঘ। উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায় করোনায় মৃতদের দেহ ভাসানোর প্রতিবাদে ক’দিন আগে ‘গঙ্গা বাঁচাও অভিযানে’ নেমে গঙ্গায় হাওড়া থেকে সাঁতার কেটে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত যান মুকেশ।

[আরও পড়ুন: গান গেয়ে পাকিস্তানে কুলফি বেচছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! ব্যাপারটা কী? দেখুন ভিডিও]

রোয়িং, সারফিং, এক্সপিডিশন করে দশ বছরে জলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছে মুকেশের। এবার নানা প্রতিবাদে গঙ্গার বুকে ঝাঁপ দিয়েছেন। দেশের পতাকা নিয়ে জল চিরে এগিয়ে গিয়ে জানান দিয়েছেন, কোনও অন্যায় সহ্য করা হবে না। এবার রেকর্ড (Record) গড়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার গঙ্গার ঘাটে এক টানা সাড়ে এগারো হাজার ডুব দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এটা দেশের মধ্যে এক টানা ডুব মারার রেকর্ড। শত দারিদ্রতার মাঝে দাঁড়িয়েও নিজেকে সচেষ্ট রেখেছেন নজির গড়ার লক্ষ্যে। এই লড়াইকে সামনে রেখে এখনও অনেকটা এগিয়ে যেতে চান চা বিক্রেতা মুকেশ।

[আরও পড়ুন: OMG! রেলের কোটি টাকার ফ্ল্যাটের ‘দখল’ নিল গরুর পাল]

স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর শৈলেশবাবু জানিয়েছেন, ”এক নাগাড়ে গঙ্গায় ১১,৫০০ ডুব দিয়েছে মুকেশ গুপ্তা নামের ওই যুবক। সময় নিয়েছেন চার ঘণ্টা দশ মিনিট আটত্রিশ সেকেন্ড। যতদূর জানি, এটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।” এই রেকর্ডের জন্য এদিন পুরস্কারের পাশাপাশি ওয়ার্ড থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। আয়োজক সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ প্রলয় চক্রবর্তী বলেন, সামান্য চা বিক্রি করে সংসার চালালেও অদম্য ইচ্ছা রয়েছে মুকেশের। তাঁর সাফল্যের উদযাপনে, আরও অনুপ্রেরণা জোগাতেই এই আয়োজন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার