নিরুফা খাতুন: চুড়িদারের দোকান থেকে উদ্ধার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওএমআর শিট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধেয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বেহালার ১৪ নম্বরের কাছে ফুটপাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সন্ধেয়। বেহালার ১৪ নম্বরের কাছে ফুটপাতে একটি হকারের স্টল থেকে উদ্ধার হয় ওএমআর শিট। চুড়িদারের বাক্সের ফাঁকে কয়েকটি উত্তরপত্র গুঁজে রাখা ছিল। ক্রেতাদের পোশাক দেখাতে গিয়ে ওএমআর শিটগুলি দেখতে পান হকাররা। নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর একাধিক জায়গায় ওএমআর শিট উদ্ধারের খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন ওএমআর শিট পাওয়া নিয়ে বেহালা অঞ্চলেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও এই উত্তরপত্রগুলি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬ ও ২০১৮ সালের পরীক্ষার উত্তরপত্র। খবর পেয়ে পুলিশ ওএমআর শিটগুলি নিয়ে যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার উত্তরপত্র কীভাবে ওখানে গিয়েছে, এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। কে বা কারা রেখে গিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে গড়িয়াহাটে ফুটপাত থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যার পরীক্ষার উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মীন-ডাকাতি! লুটের চিংড়ি উদ্ধারে সন্দেশখালি তোলপাড় কলকাতা পুলিশের]
ওএমআর শিটগুলি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত না হলেও এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু রাজ্যে। পুলিশ ওএমআর শিট উদ্ধার করায় মোটেও খুশি নয় বিজেপি। তাঁদের কথায়, পুলিশ তথ্য বিকৃত করতে পারে। তাঁদের কথায়, সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল এই ওএমআর শিট। তদন্তভার দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। যদিও তৃণমূলের কথায়, “তথ্য বিকৃত করার হলে পুলিশ বিষয়টা না জানালেও পারত। তাই অযথা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।”