সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরের শেষে করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন মিলতে পারে। বৃহস্পতিবার এই দাবিই করলেন এইমস (AIIMS)-এর অধিকর্তা ড. রণদীপ গুলেরিয়া। দেশে যেভাবে একাধিক কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের চূড়ান্ত দফার ট্রায়াল চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও ইতিমধ্যেই টিকা বণ্টনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগোচ্ছে।
তার ভিত্তিতেই এইমস (দিল্লি) অধিকর্তা ড. রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria) আশাবাদী যে চলতি মাসের শেষে কিংবা ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের গোড়াতেই প্রতিষেধক প্রয়োগে জরুরি অনুমোদন দিতে পারে এদেশের নজরদারি কর্তৃপক্ষগুলি। তারপর থেকেই দেশজুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাছ শুরু হবে।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় বুরেভির জেরে তামিলনাড়ুতে প্রবল বৃষ্টি, দক্ষিণ কেরলে জারি রেড অ্যালার্ট]
বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুলেরিয়া বলেন, ‘ভারতে এখন আমাদের কাছে এমন কিছু প্রতিষেধক রয়েছে, যেগুলির চূড়ান্ত স্তরের ট্রায়াল চলছে। আমার আশা, এ মাসের শেষে বা আগামী মাসের গোড়াতেই আমরা দেশের স্বাস্থ্য নজরদারি কর্তৃপক্ষগুলির তরফে প্রতিষেধকের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়ে যাব।’
দিল্লি এইমস অধিকর্তার আরও দাবি, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফে বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রতিষেধক বণ্টন ব্যবস্থা, হিমায়িতকরণের ব্যবস্থা (কোল্ড চেন পরিষেবা), সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করা, প্রতিষেধক প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রভৃতির কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে এ-ও জানা গিয়েছে, যে প্রতিষেধকগুলির ট্রায়াল চলছে, সেগুলি নিরাপদ এবং সক্রিয়। যে ৭০-৮০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের টিকাকরণ হয়েছে, তাঁদের কারও গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যদিও চেন্নাই ট্রায়ালে এক ব্যক্তির অসুস্থতা নিয়ে এইমস অধিকর্তার মত, ওই ঘটনার সঙ্গে টিকাকরণের কোনও সম্পর্ক নেই।