সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই বড় সিদ্ধান্ত শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif)। সরকারি দপ্তরে ছুটির রাশ টানলেন তিনি। নয়া পাকিস্তানি (Pakistan PM) প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিনই ঘোষণা করলেন, এবার থেকে সপ্তাহে আর দু’দিন নয়, একদিনই ছুটি পাবেন কর্মীরা। শুধু রবিবার। আর্থিক অনটনের ধাক্কায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে তিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে খবর।
দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটি উঠিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দপ্তরে হাজিরার সময়ও বদলাচ্ছেন তিনি। ইমরান খান (Imran Khan) জমানায় সরকারি অফিস চালু হত সকাল ১০টায়। সোমবার, শপথ নেওয়ার পর প্রথমদিনই তিনি অফিসে পৌঁছন সকাল ৮টায়। এবার থেকে সরকারি দপ্তরে কর্মীদের দশটার পরিবর্তে সকাল ৮টায় ঢুকতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: স্কুলে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, নয়া আচরণবিধি জারি করল রাজ্য]
শাহবাজের কথায়, “আমরা জনতার সেবা করতে এসেছি। এক মুহূর্তও নষ্ট করা যাবে না।” প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সততা, স্বচ্ছতা, পরিশ্রম, সদিচ্ছাই হবে আমাদের চালিকা-নীতি।” পেনশন বৃদ্ধি, ন্য়ূনতম ২৫ হাজার টাকা বেতন সংক্রান্ত ঘোষিত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তীব্র আর্থিক সংকট থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যে অর্থ বিশেষজ্ঞদের দেওয়া সুপারিশ প্রয়োগের ব্যাপারেও আজ জরুরি বৈঠক করেন শাহবাজ। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের বাছাইয়ের ব্যাপারেও দিনভর আলোচনা চালান তিনি।
তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই, ৭০বছরের শাহবাজ এতদিন দেশের সবচেয়ে জনবহুল ও রাজনৈতিক দিক থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছেন। তিনি কি পারবেন গোটা পাকিস্তানের আর্থিক হাল ফেরাতে, উত্তর দেবে ভবিষ্যত।
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের, ২ মের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট]
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। দুপুরেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। অপেক্ষা ছিল শুধু শপথ গ্রহণের। সোমবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শরিফ। পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লিখলেন, “শুভেচ্ছা। শান্তি, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলের আশায় থাকবে ভারত।”