সংবাদ প্রতিদন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয় উত্তরপূর্ব দিল্লির (Delhi) জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হন নয় জন। পোড়ানো হয় বেশ কিছু গাড়ি, ভাঙচুর করা হয় একাধিক দোকান। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অন্তত ছ’জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। এমনকী ওই সংঘর্ষে গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বিজেপি বিধায়ক দাবি করলেন, শনিবার সন্ধ্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক চক্রের হাত রয়েছে। দেশের নাম খারাপ করার জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ওই বিজেপি বিধায়ক হলেন হনস রাজ হনস। তিনি এদিন বলেন, “ভারতকে বদনাম করতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে।” শনিবার সংঘর্ষ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “যারা অশান্তি করেছে আড়াল থেকে তাদের সাহায্য করা হয়েছে। এর জন্য কোনও ধর্মকে দায়ী করা উচিত নয়। এনআইএ (ANI) তদন্ত হলেই তা প্রমাণিত হবে।”
[আরও পড়ুন: অসমে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের, কংগ্রেস ছেড়ে জোড়াফুলে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি রিপুন বোরা]
এদিকে শনিবারের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ওই সময়েই পোড়ানো হয় বেশ কিছু গাড়ি, ভাঙচুর করা হয় একাধিক দোকান। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রবিবার সকাল থেকে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই বিবৃতি দিয়েছে পুলিশ। অশান্তি এড়াতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জাহাঙ্গিরপুরীতে।
এদিকে যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় তরোয়াল, বন্দুক হাতে মানুষ। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও পুলিশকে প্রশ্ন করা হয়, একটি সম্প্রদায়ের মানুষকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কেন। এর উত্তরে পুলিশের বক্তব্য, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আগামিতে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় যে যুবকের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তার পরিবার দাবি করেছে, সে নাবালক। যদিও পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এ তার বয়স ২২ বছর।
[আরও পড়ুন: সাধারণের উপরে বাড়তে পারে করের বোঝা! তুলে দেওয়া হচ্ছে জিএসটির ৫ শতাংশের ধাপ]
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (CAA) কেন্দ্র করে দিল্লির এই অংশটিতেই ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। যাতে অন্তত ৫৩ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশো মানুষ। বহু মানুষ নিখোঁজও ছিলেন। শনিবারের ঘটনা ২০২০ সালের সেই দাঙ্গার ভয়াবহতা ফের উসকে দিল। যদিও পুলিশের দাবি, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।