সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ঘিরে ভোটগণনা কেন্দ্রে তুমুল অশান্তি। যা থামাতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। আর সেই গুলিতেই প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের। জখম হয়েছেন পুলিশকর্মী-সহ আরও ৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে, বাংলাদেশের উত্তরের জনপদ জেলা দিনাজপুরের বিরলের আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে।
জানা গিয়েছে, আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় সিঙ্গুল হামিদ হামিদা উচ্চ বিদ্যালয়ে। নির্বাচন শেষে রবিবার এই কেন্দ্রে গণনা শুরু হয়। অভিযোগ সেসময় দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে জোর করে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। আটকাতে গেলে পুলিশের উপরও হামলা চালানো হয়। তখনই পরিস্থিতি শান্ত করতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। সেই গণ্ডগোলে মহম্মদ আলি (৭০) নামে এক বৃদ্ধ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: হিটস্ট্রোকে মৃত্যু প্রার্থী-সহ ৪, বাংলাদেশে স্থগিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচন]
মহম্মদ আলির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, হামিদ হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগণনা শেষে গোল বাঁধে। উত্তেজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে জোর করে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করে। তার পর পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ও সরকারি জিনিস রক্ষার্থে প্রথমে ফাঁকা গুলি চালায়। এর পরও পুলিশকর্মীদের উপর আরও হামলা করা হলে শটগান থেকে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এই শট গানের গুলিতে মহম্মদ আলি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান এই ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। দিনাজপুর জেলা শাসক শাকিল আহমেদ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানে আলমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী মে দিবসের মধ্যেই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে।