বিক্রম রায়, কোচবিহার: সীমান্তে ফের বিএসএফের (BSF)গুলিতে নিহত এক। মৃত ব্যক্তি পাচারকারী বলে দাবি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। কোচবিহারে (Cooch Behar) বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তের গ্রামে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার আরও একজন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। বিএসএফের গুলিতে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। যদিও তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি। ফলে পুলিশ একজনেরই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে।
বুধবার গভীর রাত। ঘড়িতে আড়াইটের কাঁটা পেরিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, দিনহাটা (Dinhata)মহকুমার অন্তর্গত গীতালদহ ২ নং পঞ্চায়েত এলাকায় সীমান্তের গ্রাম কাশিমঘাটে টহল দেওয়ার সময় জওয়ান কয়েকজন পাচারকারীকে দেখতে পান। তাঁরা গরু পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। সেসময় বাধা দিতে যায় বিএসএফ। কিন্তু পাচারকারীরা জওয়ানদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাতে জওয়ানরা ৬ রাউন্ড গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ হন লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে প্রথমে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকের অস্ত্র-সহ ব্যাগ চুরি, তদন্তে GRP]
স্থানীয় সূত্রে খবর, লুৎফর এর আগেও একাধিকবার পাচারকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাঁর স্ত্রীও মাদক পাচার মামলায় এই মুহূর্তে জেলবন্দি। সবমিলিয়ে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ জানিয়েছেন, ”একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত, পৌষমেলা না হওয়ায় রাজ্য সরকারকে দায়ী করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য]
সেই দিনহাটা, সেই বিএসএফ। ফের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে বাসিন্দার মৃত্যু। ফলে আবারও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। সম্প্রতিই বাংলা, অসম, পাঞ্জাব সীমান্তে বিএসএফের কাজের পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তার বিরোধিতায় রাজ্য বিধানসভায় বিলও পাশ হয়েছে। এরপর গীতালদহের ঘটনা ফের একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল।