সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। সোমবার সন্ধ্যায় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের দোকানে ঢুকে গুলি চালাল জঙ্গিরা (Terrorist)। তাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দোকানের কর্মচারী মহম্মদ ইব্রাহিম। ঘটনার পরই এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা রক্ষীরা। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এর আগে সোমবারই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাটমালু এলাকায় জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের মারা গেলেন এক নিরীহ ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, বোহরি কাদাল অঞ্চলে ওই দোকানের মালিক সন্দীপ মাওয়া নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত। ঘটনার ঠিক আগে তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরে যান। এরপরই দোকানে ঢুকে গুলি চালায় জঙ্গিরা। হামলার পরেই রক্তাক্ত ইব্রাহিমকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। হামলার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশ। দ্রুত আসা-যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়ে শুরু হয় তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: ভোপালের সরকারি হাসপাতালের শিশু বিভাগে আগুন, চার সদ্যোজাতর মৃত্যু]
যে কাশ্মীরি পণ্ডিতের দোকানে ওই হামলা হয়েছে তিনি মাখনলাল বিন্দ্রু নামের এক নামী ওষুধ ব্যবসায়ীর আত্মীয়। গত অক্টোবরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান মাখনলাল। সন্দীপের বাবা রোশনলাল মাওয়াকেও তাঁর দোকানের বাইরে গুলি করে খুন করেছিল জঙ্গিরা। এবার সন্দীপের দোকানে হামলা জেহাদিদের। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে জাঁবাজ ফোর্স নামের এক জঙ্গি গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, সন্দীপ ও তাঁর বাবা সরকারি এজেন্সির হয়ে কাজ করতেন। তাঁরা কাশ্মীরে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করতেন। জঙ্গিদের এহেন বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, কাশ্মীরে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের উপরে যে হামলার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে সেই চক্রান্তেই অংশ হিসেবে সোমবার সন্দীপের দোকানে হামলা চালিয়েছে জেহাদিরা।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই হামলার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন। তিনিও তাঁর টুইটে দাবি করেছেন, সম্প্রতি উপত্যকায় যেভাবে টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে, সেই চক্রান্তেরই শিকার হতে হয়েছে ইব্রাহিমকে।