সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ বাড়ছে পড়াশুনার খরচ। বিশেষ করে ডাক্তারি, ম্যানেজমেন্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিংয় পড়তে গেলে যে মোটা অঙ্কের টাকা লাগে তা বলাই বাহুল্য। ভারতের মতো দেশে সন্তানের শিক্ষার সমস্ত খরচ অভিভাবকরাই যোগান। কিন্তু ইউরোপে তেমনটা নয়। ব্রিটেনে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ নিজেদেরই বইতে হয়। এবং অনেক সময় তা হয়ে উঠে বেশ কষ্টসাধ্য। তাই অন্য কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে, ব্রিটেনের এক তৃতীয়াংশ পড়ুয়া পড়াশোনার খরচ জোগার করতে যৌন মিলনেও রাজি। এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়।
[মনুয়াকে ফোনে স্বামীর চিৎকার শোনাতে এই নৃশংস কাজটি করে অজিত]
লন্ডন সাউথ ব্যাঙ্ক ইউনিভার্সিটি ও দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট সংবাদপত্র যৌথভাবে এই গবেষণাটি করেছে। গবেষকদের প্রশ্নের উত্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, ‘সুগার ড্যাডি’তে আপত্তি নেই তাঁদের। যদি তাঁদের পড়াশোনার খরচ চালাতে সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তি রাজি হয়, তবে তার সঙ্গে যৌন মিলনে আপত্তি নেই তাঁদের। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের করা সমীক্ষায় যোগ দেন ১৪৭৭ জন। প্রায় ৭০ শতাংশ জানিয়ে দেন, পড়াশোনার খরচ চালাতে চিন্তায় থাকেন তাঁরা। ৫৩ শতাংশ জানান, পড়ার খরচ তুলতে পূর্ণ বা আংশিক সময়ের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। ৮৮ শতাংশ বলেছেন, অন্য কেউ যদি পড়ার খরচ দেয়, খুব ভাল হয়।
[স্কুলে ‘গীতা’ বাধ্যতামূলক করতে সংসদে বিল আনছেন বিজেপি সাংসদ]
ব্রিটেনের আকাশছোঁয়া বাড়িভাড়া, ক্রমশ উর্ধ্বমুখী টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ জগতে হিমশিম খাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তাই বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরাই নতুন নতুন রোজগারের পন্থা খুঁজছেন। সমীক্ষা চলাকালীন ৯২০ জন অংশগ্রহনকারীদের থেকে৩ জানতে চাওয়া হয়েছিল, অন্য কেউ যাতে পড়াশোনার খরচ দেয় সে জন্য তাঁরা কত দূর এগোতে পারেন। এর উত্তরে ৭৫ শতাংশ স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন সুযোগ পেলে ‘সুগার ড্যাডি’কে সময় ও সঙ্গ দিতে কোনও আপত্তি নেই তাঁদের। ওই দেশে পড়াশোনার খরচ জগতে ক্রমশ ‘সুগার বেবি’ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে।
বয়স্ক ও নিঃসঙ্গ পুরুষ যারা টাকার বিনিময়ে সঙ্গ ও সময় পেটে চান তাঁদের ‘সুগার ড্যাডি’ বলা হয়। একে ভাবে অর্থের বিনিময়ে তাঁদের যারা সঙ্গ দেন তাঁদের ‘সুগার বেবি’ বলা হয়
The post পড়াশোনার খরচ জোগাতে দেহ ব্যবসায় পড়ুয়ারা appeared first on Sangbad Pratidin.