সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির রোহিনীতে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে পড়ে তিন বছরের দুই যমজ শিশুর মৃত্যুর পর একইরকম আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটল। এবার ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লোনি। যেখানে জলভর্তি বালতিতে পড়ে মারা গেল এক বছরের দুধের শিশু। বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত শিশুর নাম আজম।
এদিন সকালে অশোক বিহার কলোনিতে বাড়ির মধ্যেই ছিল ছোট্ট আজম। নিজে নিজেই সিঁড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে ছাদে যায়। যেখানে তার মা ফতিমা একটি জলভর্তি বালতি রেখেছিলেন। বালতটিতে ১০ থেকে ১২ লিটার জল ভরা ছিল। ছাদে রাখা বালতিতে উঁকি মারতে গিয়েই উল্টো হয়ে তার ভিতরে পড়ে যায় আজম। এদিকে, শিশুটির মা তখন ঘরের কাজ করতে ব্যস্ত থাকায় খেয়ালও করেননি। ফলে বালতির জলেই ডুবে যায় শিশুটি। ১৫ মিনিট পরে ছাদে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পান ফতিমা।
(প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচারের আর্জি ‘বিদ্রোহী’ তেজ বাহাদুরের)
আজমের বাবা মুশারফ জানান, ‘ছেলে ওর মায়ের সঙ্গে একাই বাড়িতে ছিল। ওর চার ভাই-বোন তখন পড়তে গিয়েছিল। ফতিমা ঘরের কাজকর্ম করতে ব্যস্ত ছিল। আজম কোনওভাবে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠে। এরপরেই বালতির ভিতরে কী আছে দেখতে গিয়েই হয়তো পড়ে যায়। ১৫ মিনিট পর আমার স্ত্রী যখন ছেলেকে খুঁজতে উপরে ওঠে, তখনই উল্টো অবস্থায় ছেলের মৃতদেহ দেখতে পায়।’
ফতিমার কান্না শুনেই আশপাশের বাড়ির লোক জড়ো হয়ে যান। তাঁরাই শিশুটিকে নিয়ে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু আজমকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, ‘আমরা শিশুটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি।’ এদিকে, পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। লোনি পুলিশ স্টেশনের এক আধিকারিক জানান, ‘আমরা পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখেছি। ১০ থেকে ১২ লিটার জলভর্তি বালতিতে পড়েই মারা গিয়েছে শিশুটি। উল্টো হয়ে পড়ায় বালতি থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগটুকুও পায়নি সে।’