সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে জনতা কারফিউ, করতালি বাজিয়ে করোনা মোকাবিলার ‘সৈনিকদের’ সম্মান জানানোর আবেদন। এবার ৫ এপ্রিল রাত ন’টায় বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে ঘরে ঘরে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানোর আরজি রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য, আত্মশক্তি জাগ্রত করা ও ঐক্যের বার্তা দেওয়া। কিন্তু তাঁর এই আবেদনের সমোলচনায় সরব বিরোধী নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, দেশবাসী ভয়ানক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। দেশের আর্থিক পরিকাঠামো দুর্বল হয়েছে। মহামারি রুখে দেশের আর্থিক উন্নয়ন করতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। বিরোধীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত সেদিকে নজর দেওয়া।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মৃত্যুও হয়েছে বহু মানুষের। সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরেও সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফলে সেই লকডাউনের সময়সীমা কি আরও বাড়বে, নাকি আরও কড়া হাতে আমজনতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় শুক্রবার সকাল নটায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভাষণ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল।
[আরও পড়ুন : লকডাউনেই জন্ম যমজ সন্তানের, নাম দেওয়া হল ‘করোনা’ ও ‘কোবিড’]
প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সমালোচনা করেছেন বিরোধী দল নেতারা। কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী বাস্তবটা বুঝুন।” একইসঙ্গে দেশের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়ন, নির্মাণ কর্মী ও দিনমজুরদের মজুরি নিশ্চিত করারও আবেদন জানান ওই সাংসদ। একই পথে হেঁটে প্রাক্তন আর্থিক মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ পি চিদাম্বরম বলেন, “আমরা আপনার কথা শুনে বাড়ির বারান্দায় প্রদীর জ্বালাব। বদলে আপনি আমাদের কথা শুনে মহামারি রোখা ও আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক করার সঠিক ব্যবস্থা নেবেন।” প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন আরেক কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তাঁর কথায়, “দিশাহীন বার্তা। মানুষের কষ্ট লাঘব করার কোনও দিশাই দেখাতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী।” তবে ৫ এপ্রিল রাতে দেশবাসী কী করেন, তার দিকে তাকিয়ে সকলে।
[আরও পড়ুন : বাড়ি ফেরা হল না, পথই প্রাণ কাড়ল তামিলনাড়ুর যুবকের]
The post ‘দিশাহীন বার্তা’, প্রধানমন্ত্রীর প্রদীপ জ্বালানোর আবেদনের সমালোচনায় সরব বিরোধী নেতৃত্ব appeared first on Sangbad Pratidin.