সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের রণকৌশল স্থির করতে শুক্রবার ফের কংগ্রেসের (Congress) নেতৃত্বে বৈঠকে বসলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সংসদের দুই কক্ষে কীভাবে সরকারকে কোণঠাসা করা হবে, সে নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন এই ধরনের বৈঠক নতুন কিছু নয়। তবে, এদিনের বৈঠকের বিশেষত্ব হল, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিল্লিতে পা রাখার পর গত বুধবারও এই একই ধরনের বৈঠক হয় সংসদে। যার নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভা ও রাজ্যসভার সংসদীয় দলনেতাদের এই বৈঠকে অবশ্য তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ে জল্পনাও ছড়িয়েছিল। তবে শুক্রবারের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায় (Sougata Roy)। আসলে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দেওয়াটা সম্ভবত সমীচীন মনে করছিল না তৃণমূল সংসদীয় দল। সম্ভবত সেকারণেই মমতা-সোনিয়া (Sonia Gandhi) সাক্ষাৎ মিটতেই ফের সরকার বিরোধী বৈঠকে যোগ দিল তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্য বিহার, কেন্দ্রের ঘোষণায় বিতর্ক]
চলতি বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড বা পেগাসাস (Pegasus) ইস্যু। একে হাতিয়ার করেই অধিবেশেনের বাকি দিনগুলোয় কেন্দ্রকে চাপে রাখার কৌশল স্থির করছে ১৮ বিরোধী দল (Opposition parties)। অধিবেশনের বাকি দিনগুলির মতো আজও শুরু থেকেও পেগাসাস নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। মূলতুবি করে দিতে হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। বিরোধীদের এই আচরণে এদিন রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তাঁর বক্তব্য, সরকার আলোচনা ছাড়া কোনও বিল পাশ করাতে চায় না। কিন্তু বিরোধীরা মানুষের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতেই চায় না। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী সংসদের দুই কক্ষেই বিবৃতি দিয়ে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও এই কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিক্ষোভ কেন? দয়া করে সংসদ চলতে দিন।